আগুন লাগার পর প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহ।— নিজস্ব চিত্র।
অগ্নিকাণ্ডের পর সোমবার আপাতত প্রিয়া সিনেমাহল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন দমকল কর্তৃপক্ষ।
এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন দমকলের ডিজি জগমোহন। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। দমকলের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন দুপুরে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা যাবেন। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবেন ঠিক কী ভাবে কোথা থেকে আগুন লেগেছিল।
যদিও রবিবার রাতের আগুনের উৎসস্থল নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে প্রিয়া হল কর্তৃপক্ষ এবং দমকলের মধ্যে। সোমবার জগমোহন বলেন, “আমরা আজ গোটা হল ঘুরে দেখলাম। তার মধ্যে দেখলাম দু’টি স্পট। একটি প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহের বাইরের ব্যালকনি। সেখানে একটি এয়ার কন্ডিশনার মেশিন পুড়ে গিয়েছে। সেখানে আগুন লাগল কী করে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাশাপাশি, নীচের তলায় মোমোর স্টলেও আমরা ঘুরে দেখেছি। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছিল কি না সেটাও আমরা দেখছি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘তদন্তের প্রয়োজনে আমরা আজ হল বন্ধ রাখতে বলেছি।’’ দমকল সূত্রে খবর, তারা মনে করছে ব্যালকনির এয়ার কন্ডিশনার মেশিনে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।
আরও পড়ুন, জেলবন্দি কর্নেলই কি এটিএম জালিয়াতির উপরওয়ালা
যদিও দমকলের অনুমানের সঙ্গে এক মত নন প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত। তিনি বলেন, “রাত থেকেই আমি বলছি, মূল প্রবেশ পথের ঠিক বাইরে থাকা মোমোর স্টল থেকে আগুন লেগেছে।’’ তাঁর দাবি, তিনি নিজে রাতে দেখেছেন ওই স্টল থেকে আগুন ছড়াতে। ওই স্টলে একটি হিটার রয়েছে। স্টলের কর্মীরা সেই হিটার রাতে বন্ধ করে যেতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই দুর্ঘটনা।
সকাল থেকেই ভেতরে পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সকালে দিনের আলোয় বোঝা যায়, ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি। আগুন নেভানোর জন্য দমকল কিছু কাচ ভেঙেছে। আগুন লাগার জেরে খুব একটা ক্ষতি হয়নি।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।