অগ্নিযোগ: জ্বলছে সেই গুদাম। ভিড় করেছেন বাসিন্দারা। শুক্রবার, বেহালায়। নিজস্ব চিত্র
বেহালার বামাচরণ রায় রোডে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় কাঠের গুদামটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। গুদামের ভিতরে কেউ আটকে নেই বলেও জানিয়েছে দমকল। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ করে।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ ওই গুদামে আগুনের শিখা প্রথম দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উত্তেজনা ছড়ায়। যেখানে আগুন লাগে, তার পাশেই রয়েছে একটি আবাসন। সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। ওই বহুতলের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘চারদিক এত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কোনও রকমে নীচে নেমে বাইরে এসে দাঁড়াই।’’ অন্য এক আবাসনের বাসিন্দা জানান, আগুনের শিখা তাদের আবাসনের এতটাই কাছে ছিল যে, তাঁরা রীতিমতো আগুনের আঁচ টের পাচ্ছিলেন। ফলে ওই আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই আতঙ্কে নীচে নেমে আসেন। গুদামটির পাশের একটি গাছও পুড়ে যায়।
স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই চলে আসে দমকল আসে। পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘দমকল সময় মতো চলে আসায় আগুন ছড়াতে পারেনি। না হলে আরও বড়সড় বিপদ হতে পারত।’’
দমকলের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ওই গুদামটি ছিল টিনের কাঠামোর উপরে তৈরি। সেখানে প্যাকিং বাক্স তৈরি হত। প্যাকিং বাক্সের মতো দাহ্য বস্তুতে গুদামটি ঠাসা ছিল বলে দ্রুত আগুন ছড়ায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, কোনও একটা জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পরে দেখা যাচ্ছিল, অন্য কোনও জায়গায়
আগুন ধরে যাচ্ছে। ফলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। দমকলের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার সময়ে ওই গুদামে কোনও কর্মী ছিলেন না। গুদামটিতে দাহ্য পদার্থ ঠাসা থাকলেও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা তেমন ছিল না বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকেরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।