প্রতীকী ছবি।
পানশালায় বসে মদ্যপান করছিলেন তিন ব্যক্তি। অভিযোগ, মদ্যপানের শেষে পানশালা কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া বিলে জিএসটি-র হিসেব না থাকায় চিৎকার শুরু করেন এক ক্রেতা। দু’পক্ষের বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। রবিবার রাতে খিদিরপুরের একটি পানশালার মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তিন জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, হরিদেবপুরের বাসিন্দা সুনীল তালরেজা তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে রবিবার রাত ১০টা নাগাদ খিদিরপুরের সি জি আর রোডে একটি পানশালায় ঢোকেন। তাঁরা মদ্যপানের পরে বিল মেটালেও কেন সেই বিলে জিএসটি-র হিসেব দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে তুমুল তর্ক জুড়ে দেন কর্মীদের সঙ্গে। ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশকে লিখিত অভিযোগে সুনীল জানিয়েছেন, জিএসটি-র কথা জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাঁদের তিন জনকে মেঝেতে ফেলে মারধর করা হয়। এমনকি রড দিয়েও তাঁদের মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তিন জনকে। তার পরেই পানশালার মালিক সৈকত সরকার ও কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে ওয়াটগঞ্জ থানার মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন সুনীল।
যদিও সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে সৈকত বলেন, ‘‘মদ্যপানের ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি নেই। আমরা বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওই ক্রেতারা কিছুতেই তা বুঝতে না পেরে উল্টে আমাদের সঙ্গেই অভব্য
আচরণ করেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘গোটা ঘটনাটি সাজানো। ওই তিন জন মত্ত অবস্থায় পানশালার মধ্যে অশালীন আচরণ করছিলেন। অন্য ক্রেতারা বহু ক্ষণ বসে বিষয়টি সহ্য করেছিলেন। শেষে তাঁরাই ওই তিন জনকে পানশালা থেকে বার করে দেন।’’ সৈকত আরও বলেন, ‘‘আমি বা আমার কর্মীরা কেউ ওঁদের গায়ে হাত দিইনি। এ বিষয়ে পানশালার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশকে দিয়েছি।’’
সোমবার বিকেলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ পানশালার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’