বাদুড়ঝোলা: মিনি ট্রাকে যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশের জন্য আজ, শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় বেসরকারি বাস কার্যত অমিল হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন বাসমালিক সংগঠনের কর্তারা। কলকাতা পুর এলাকার সব ওয়ার্ড ছাড়াও শহর লাগোয়া পুরসভা, অটো ইউনিয়ন এবং প্রায় সব কলেজের ছাত্র সংসদকে বাস দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রতি দিন যেখানে প্রায় ৪০০০ বাস এবং ৮০০ মিনিবাস রাস্তায় নামে, সেখানে বেশির ভাগই আজ নামবে না।
বাসমালিকদের দাবি, যে সব বাস নেওয়া হয়নি সেগুলিও কতটা পথে নামতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ অধিকাংশ বাস চালানোর জন্য এ দিন কর্মী পাওয়াই মুশকিল হবে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট্সের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ রকম সমাবেশের ক্ষেত্রে কলকাতায় ট্র্যাফিকের অনেক বিধি-নিষেধ থাকে। ফলে যে সব বাস সমাবেশের জন্য নেওয়া হয় না তাদেরও নির্দিষ্ট রুটে দিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। সেই আশঙ্কায় অনেক বাস নামে না।”
ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহ-সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, “সমাবেশের জন্য বেশির ভাগই বাসই বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তায় কত বাস থাকবে বলা মুশকিল।” তবে, সমাবেশ মিটলে বিকেলের পরে কিছু বাস নামতে পারে বলে জানাচ্ছেন বাসমালিক সংগঠনের কর্তারা।
কলকাতায় রাজ্য পরিবহণ নিগমের প্রায় ৮০০ বাস সপ্তাহের কাজের দিনে পথে নামে। নিগম সূত্রে খবর, সমাবেশের দিনে ওই সংখ্যা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ নিগমের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন ডিপোয় কর্মীদের দায়িত্ব আগেই ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে সকাল ৯টার পর থেকেই মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে দেবে। ফলে সকাল থেকে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত বাস পরিষেবা কিছুটা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।