নকল শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে সম্প্রতি রাজারহাট-চিনার পার্ক থেকে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। তাকে জেরা করতেই নকল শংসাপত্র তৈরির একটি অন্তর্দেশীয় চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছিল। সেই সূত্র ধরেই বুধবার কেষ্টপুরের দু’টি এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরজিৎ দত্ত ওরফে জালালউদ্দিন এবং চিত্তরঞ্জন রানা ওরফে মামা। এর মধ্যে হস্তরেখাবিদ মামা কয়েক বছর আগেও পুলিশের হাতে একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, কেষ্টপুরের হানাপাড়া ও গৌরাঙ্গনগর থেকে ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হল একাধিক নকল পাসপোর্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধু তাই নয়, জেরায় ইতিমধ্যেই যে সব তথ্য মিলেছে, তাতে তদন্তকারীদের অনুমান, একাধিক রাজ্য, এমনকী, বিদেশেও এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে।
এই ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে এক জনের হদিসের ক্ষেত্রে সিআইডি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ নিশ্চিত, পাসপোর্ট থেকে বার্থ সার্টিফিকেট সমেত রকমারি নকল শংসাপত্র তৈরির কাজ করতেন ‘হস্তরেখাবিদ’ মামা। ওই নামেই তিনি বেশি পরিচিত। তারই এক সঙ্গী টুসি বারিককে কিছু দিন আগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই টুসি যেমন খরিদ্দার ধরে আনত, তেমনই নকল শংসাপত্র খরিদ্দারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজও সে করত। এই একই চক্রের সঙ্গে আর এক ধৃত সুরজিতের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ।
কিন্তু গত কাল দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পরে একাধিক নকল পাসপোর্টের মধ্যেই একটি আসল পাসপোর্টও মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই পাসপোর্টটি চুরি করা হয়েছিল। চুরি যাওয়া সেই পাসপোর্টটি কিনেছিল ধৃত মামা। তার খরিদ্দারদের মধ্যে ভিনদেশি নাগরিকদের অস্তিত্ব সম্পর্কেও সূত্র মিলেছে। যা চিন্তায় ফেলেছে তদন্তকারীদের।