ফাইল চিত্র
নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বাড়তি ওজন চাপিয়ে ফের বাঘা যতীন উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ। সম্প্রতি ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে কয়েকটি জায়গায় সমস্যার কথা বলা হয়েছিল। তার পরে কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই পরীক্ষার পরে উড়ালপুলের কোন কোন অংশের মেরামতির প্রয়োজন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে উড়ালপুল এবং সেতু বিশেষজ্ঞ সংস্থা শহরের যে সাতটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করে কেএমডিএ-কে রিপোর্ট দিয়েছে, তার মধ্যে বাঘা যতীন উড়ালপুল অন্যতম। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রিপোর্টে সেতুর কয়েকটি জায়গায় সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি ওজন চাপিয়ে উড়ালপুলের ভার বহন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে নির্মিত ওই উড়ালপুল চালু হওয়ার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত তিন বার ওই সেতুতে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়েছে। তার জন্য মেরামতির কাজও হয়েছে। কিছু দিন আগেই ওই সেতুর ১২ এবং ১৩ নম্বর স্তম্ভের মাঝখানে একটি চাঙড় ভেঙে পড়ে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওই ঘটনার পরেই উড়ালপুলের নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়। ওই উড়ালপুল তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। তার পরেই শুরু হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।’’
কর্তৃপক্ষ জানান, ওই উড়ালপুলের কোথায় সমস্যা, তা দ্বিতীয় বার ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষার পরেই স্পষ্ট হবে। সে ক্ষেত্রে উড়ালপুলের কিছু অংশের পুরোপুরি পরিবর্তনও করা হতে পারে। দ্বিতীয় বার উড়ালপুলের পরীক্ষা এবং রিপোর্ট যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। উড়ালপুল ফের বন্ধ করে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে পুজোর পরেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে কেএমডিএ।