সব্যসাচী দত্ত।—ফাইল চিত্র।
কমিউনিটি হলের একপাশের জমিতে অস্থায়ী ছাউনি করে মজুত করা হয়েছিল ডেকরেটরের বিভিন্ন সামগ্রী। সোমবার সকালে বুলডোজার এনে সেই সব মালপত্র সরিয়ে দিল বিধাননগর পুরসভা।
সল্টলেকের ইই ব্লকের এই ঘটনায় ফের সামনে এসেছে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য। স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (আলো) সুধীর সাহার অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর ওয়ার্ডে ওই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, নিয়ম সকলের জন্য এক হলেও উচ্ছেদের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
যদিও মেয়র সব্যসাচী দত্তের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই জমি দখলের বিষয়টি পুরসভার কাছে আসে। এই ক্ষেত্রে একাধিক বার ওই ব্যবসায়ীকে সরে যেতে বলা হয়েছিল।
এ দিন সকালে ইই ব্লকের কমিউনিটি হলের পাশে পুরসভার জমিতে ওই অভিযান চালানো হয়। সেখানে কালিদাস সরকার নামে এক ডেকরেটর তাঁর মালপত্র রেখেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবেই ডেকরেটরদের মালপত্র থাকে। কিন্তু তাঁদের পুরসভা কিছুই বলে না।
এ প্রসঙ্গে ‘ডেকরেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক চন্দ্রনাথ দে বলেন, ‘‘এই সমস্যায় জেরবার গোটা কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও সমস্যা সমাধানের আবেদন করে চিঠি পাঠিয়েছি। এই ব্যবসায় লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িত। আমাদের সমস্যার দিকটাও প্রশাসন বিবেচনা করুক।’’
মেয়র বলেন, ‘‘পুরসভার জমিতে দখলদার থাকলে সরিয়ে দেওয়া হবে। কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নয়, পুরসভার সমস্ত জমিতেই তা কার্যকর করা হবে।’’ যদিও বাসিন্দা থেকে হকারদের একটি অংশের অভিযোগ, পুরসভা মুখে দাবি করলেও বাস্তবে তা করছে না।