জ্যান্ত: আপাতত এ ভাবেই রয়েছে অ্যানাকোন্ডার ছানারা। নিজস্ব চিত্র
আলিপুর চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে ১১টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা সাপের বাচ্চা। চিড়িয়াখানা সূত্রের
খবর, তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় এর আগে অন্যান্য সাপের বাচ্চা হলেও অ্যানাকোন্ডার ক্ষেত্রে এ বারই প্রথম। এই রাজ্যের অন্য কোনও চিড়িয়াখানাতেও আগে কখনও অ্যানাকোন্ডার বাচ্চা হয়নি।
রাজ্য জ়ু অথরিটির সদস্য-সচিব বিনোদকুমার যাদব জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে চেন্নাইয়ের সর্প উদ্যান থেকে দু’জোড়া হলুদ অ্যানাকোন্ডা সাপ নিয়ে আসা হয়েছিল। সে সময়ে চিড়িয়াখানায় কাচের ঘেরাটোপে জল, পাথর, গাছপালা দিয়ে তাদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করা হয়। সেখানেই এক জোড়া সাপ স্বাভাবিক মিলনের মাধ্যমে ছানাদের জন্ম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সর্প দিবসেই বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যানাকোন্ডার বাচ্চা হওয়ার খবরটা জানান।
অ্যানাকোন্ডা নিজের শরীরের ভিতরেই ডিম ফুটিয়ে সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে। বিনোদকুমার জানান, অ্যানাকোন্ডার মিলনকাল সাধারণত এক মাস ধরে চলে। ছ’মাসের গর্ভাবস্থা শেষে মা-সাপ সন্তান প্রসব করে। অন্যান্য সাপের ছানার তুলনায় অ্যানাকোন্ডার ছানা আকারে বড় হয়। সাধারণত জন্মের সময়ে মায়ের আকারের এক শতাংশের মতো আকার হয় এক-একটি ছানার। জন্ম দিয়েই মা অ্যানাকোন্ডা সন্তানদের থেকে দূরে সরে যায় এবং ছানাগুলি স্বাবলম্বী ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, আপাতত পশু চিকিৎসক ও কিপারেরা ছানাগুলির দেখভাল করছেন। বনমন্ত্রী জানান, অ্যানাকোন্ডা আলিপুর চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ। নতুন জন্মানো ছানাগুলি সেই আকর্ষণ আরও বাড়াবে। ভবিষ্যতে এই সাপের বিনিময়ে অন্যান্য চিড়িয়াখানা থেকে নতুন কোনও জীবজন্তুও আনা হতে পারে। কয়েকটি সাপ জঙ্গলমহল বা উত্তরবঙ্গের চিড়িয়াখানাতেও পাঠানো হতে পারে।
হলুদ অ্যানাকোন্ডা বিশ্বের দীর্ঘতম সাপগুলির অন্যতম। তবে এরা নির্বিষ। সাধারণত, লাতিন আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে এদের বেশি পাওয়া যায়। আকারে গড়ে ১১ থেকে ১৫ ফুট হতে পারে।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে