জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
রেশনকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর সল্টলেক এবং বোলপুরের দু’টি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাবড়ার বিধায়ক বালুর সম্পত্তি বাদেও মোট ৪৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুক্রবারই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। সেখানে বালু ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং তাঁর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার বিরুদ্ধে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪-১৫ সালে রেশন দুর্নীতির ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের আরও দাবি, এই মামলায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ১১টি সম্পত্তি ‘অ্যাটাচড’ হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের কর্মচারী ছিলেন বিশ্বজিৎ। তার পর কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। সল্টলেক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বালুর মাধ্যমে টাকা শঙ্করকে পৌঁছে দিতেন বিশ্বজিৎ। শঙ্করের কাছে বালুর যে টাকা পৌঁছত, তা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় বদলে ফেলা হত। পাচার করে দেওয়া হত দুবাইয়ে। সেই কাজেও প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করতেন বিশ্বজিৎ। ইডি দাবি করেছে, বালুর যে ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।
অন্য দিকে, জেল হেফাজতে থাকাকালীন ধারাবাহিক ভাবে বালুর ওজন কমছে বলে আদালতে দাবি করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে বালুর জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তখন আদালতে জানানো হয়, জেলে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়ের ওজন ২৫ কেজি কমে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁর ওজন ৩৭ কেজি বলেও দাবি করা হয়।