বেহাল রাস্তা। ফাইল চিত্র।
মহালয়ার আগেই শারদীয়া উৎসবের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে কলকাতার রাস্তাঘাট। পুজোমণ্ডপমুখী কোনও রাস্তায় থাকবে না খানাখন্দ।
বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসারদের কাছ থেকে এমনই আশ্বাস আদায় করে নিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার পুরভবনে পুজোর আগের শেষ বৈঠক হল পুরসভা, পূর্ত, সেচ, কেএমডিএ, সিইএসসি, এইচআরবিসি, বন্দর ও পুলিশ-সহ একাধিক সংস্থার কর্তাদের মধ্যে। বৈঠক পরিচালনা করেন মেয়র শোভনবাবু। ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারও।
সেখানেই এক-এক করে প্রতিটি সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কতটা কাজ বাকি। প্রায় প্রত্যেকেই জানিয়ে দেন, বেশির ভাগ কাজই শেষ। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই সবটা হয়ে যাবে।
এ বার সব চেয়ে বড় সমস্যা মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়। ডায়মন্ড হারবার রোডে পুজোর সময়ে যে ভিড় হয়, তা সামলানো নিয়েই চিন্তায় রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।
দক্ষিণ কলকাতার প্রধান রাস্তাগুলির সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার রোডের সংযোগকারী রাস্তাগুলি ঠিক করার উপরেই জোর দিয়েছেন মেয়র। একই সঙ্গে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বিধান সরণি, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড, প্রফুল্লচন্দ্র রোড, এলগিন রোড-সহ একাধিক রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে বলে মেয়রকে জানান ইঞ্জিনিয়ারেরা। আলো, নিকাশি এবং জঞ্জাল পরিষ্কার করা নিয়েও বিভাগীয় কর্তাদের কাছে বিশদে জানতে চান মেয়র। আলো দফতরের ডিজি জানান, তাঁরা প্রতিটি রাস্তাই এলইডি-সহ আধুনিক আলোয় সাজানোর কাজ করছেন। জঞ্জাল দফতরও জানায়, পুজোর আগে শহরের রাস্তাঘাট সাফসুতরো রাখতে তাঁদের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে নিকাশি দফতরের বিষয় উঠতেই মেয়র ধমক দেন দফতরের ডিজি-কে। পুজোর প্রস্তুতিতে খামতি নিয়ে নয়। সকলের সামনেই ওই ডিজি-কে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বা আপনার দফতরের কেউ কেন কলকাতায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের সহায়তায় কেইআইআইপি-র সেমিনারে হাজির ছিলেন না?’’ ওই ডিজি কিছু বলতে চাইলে মেয়র বলতে থাকেন, পুজোর পরেই নিকাশি দফতরের ঘষামাজা শুরু করতে হবে।