—ফাইল চিত্র।
পুজোর সময়ে যান নিয়ন্ত্রণে আগেই বিশেষ পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করেছে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে কোথায়, কোন রাস্তায় জমায়েত বা গাড়ির চাপ বেশি, তা চিহ্নিত করে এই পরিকল্পনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সল্টলেক, নিউ টাউন, ভিআইপি রোডের দু’ধারের পুজো এবং যশোর রোড থেকে কমিশনারেট এলাকার প্রবেশপথ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। ট্র্যাফিক কর্মীদের দু’টি শিফটে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৪টে থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত এবং ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিউটি থাকছে।
যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভিআইপি রোডের ধারের পুজোগুলিকে। এ নিয়ে প্রচারেও বিশেষ জোর দিয়েছে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ। প্রায় ৫০০টি ফ্লেক্স, পথ নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে কোন রাস্তায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, কী ভাবে পুজো মণ্ডপে যেতে হবে এবং কোন পথে বেরোতে হবে, সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, মাইকেও তা ঘোষণা করা হবে। যেমন, শ্রীভূমির মণ্ডপ থেকে একটি রাস্তা লেক টাউনে ঘড়ি মোড়ের দিকে গিয়েছে। আর একটি রাস্তা গোলাঘাটা সাবওয়ের দিকে গিয়েছে। সাবওয়ে ধরে উল্টো দিকে গিয়ে কলকাতার জন্য গাড়ি ধরা যাবে বা পার্কিং লটে যাওয়া যাবে। ভিআইপি রোডে কলকাতামুখী লেনের সার্ভিস লেনকে পার্কিং লট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এয়ারপোর্টমুখী লেনে পার্কিং করতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
দুর্গাপুর ব্রিজ থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত অংশকে ছ’টি এলাকায় ভাগ করা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকার দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর। ভিআইপি রোডের ওই অংশে ফুটব্রিজ বন্ধ থাকছে। জরুরি কারণ ছাড়া কাউকে ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। পাতিপুকুরের দিক থেকে যশোর রোড ধরে লেক টাউন, বাঙুর, দমদম পার্ক এলাকার দিকে পার্কিং করতে দেওয়া হবে না বলে জানান এক ট্র্যাফিক কর্তা।
সল্টলেক, নিউ টাউনেও যান নিয়ন্ত্রণ এবং পার্কিং নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিধাননগরের ডিসি (ট্র্যাফিক) ধৃতিমান সরকার জানান, মানুষের সুবিধার জন্য পার্কিংয়ের জায়গা ও যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা ধরতে হবে, তা পথনির্দেশিকার মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার থেকেই পরিকল্পনা অনুসারে কাজ শুরু করেছে ট্র্যাফিক দফতর।