সল্টলেকে দুর্গামূর্তি চুরি, গ্রেফতার ৬

কয়েক বছর আগে পুজোয় ব্যবহার করা ফাইবারের দূর্গামূর্তি গুদামের পাশে রাখা ছিল। রবিবার রাতে সেই দুর্গামূর্তি ভ্যানে চাপিয়ে পালায় দত্তাবাদের ছ’জন যুবক। অভিযোগ পেয়ে মূর্তি-সহ হাতেনাতে ওই যুবকদের ধরে ফেলে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এফডি ব্লকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:২৩
Share:

কয়েক বছর আগে পুজোয় ব্যবহার করা ফাইবারের দূর্গামূর্তি গুদামের পাশে রাখা ছিল। রবিবার রাতে সেই দুর্গামূর্তি ভ্যানে চাপিয়ে পালায় দত্তাবাদের ছ’জন যুবক। অভিযোগ পেয়ে মূর্তি-সহ হাতেনাতে ওই যুবকদের ধরে ফেলে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এফডি ব্লকে। ধৃতদের সোমবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনে মুক্তি হয়।

পুলিশ জানায়, বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায় এফডি বাজারে এক ডেকরেটরের গুদাম রয়েছে। সেখানেই এফ ডি ব্লকের আগের কিছু বছরের পুজোর সামগ্রী মজুত করা রয়েছে। অভিযোগ, ওই গুদামের তালা ভেঙে কিছু মূর্তি ভ্যানে চাপিয়ে দত্তাবাদের দিকে যাচ্ছিল স্থানীয় ছয় যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ শ্রাবণী আবাসনের কাছে ওই যুবকদের আটক করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মূর্তি নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবকেরা।

Advertisement

যে গুদাম থেকে ওই মূর্তিগুলি চুরি করা হয় তার মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা রুজু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কেউ কেউ জানিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ নির্মাণের জন্য ওই মূর্তি তারা নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারা গুদামের তালা ভাঙেনি, তালা খোলা ছিল। কোনও এক ‘দাদা’ তাদের মূর্তিগুলি নিয়ে যেতে বলেছিল। ধৃতদের কয়েক জনের আবার দাবি, বিক্রি করে দেওয়ার জন্যই মূর্তিগুলি তারা চুরি করেছিল।

ধৃতদের দাবি খতিয়ে দেখা হছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি অংশের বক্তব্য, ধরা পড়ার পরে ভয়ে নানা ধরনের দাবি করছে ধৃতেরা। তার কোনও ভিত্তি মেলেনি। ওই গুদামের মালিক অভিযোগকারী সুকেশ মণ্ডল জানান, গুদামের পাশেই রাখা ছিল লম্বায় ১২ ফুট এবং চওড়ায় ৮ ফুটের ফাইবারের দুর্গামূর্তিটি। পরে ধৃতদের পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেন। ক্ষমাও চেয়ে নেন। সুকেশবাবু এ দিন বিধাননগর আদালতে জানান, তিনি তাঁর সামগ্রী ফেরত পেয়েছেন। ধৃতদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে বিধাননগর আদালত।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এফ ডি ব্লক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এফ ডি ব্লক পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, ওই মূর্তিগুলি গত বছরে পুজোয় ব্যবহার করা হয়েছিল। যিনি মণ্ডপ নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন, সেই ডেকরেটরের গুদামেই তা রাখা ছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, এই চুরি খাটো করে দেখা ঠিক নয়। তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ জানিয়েছে, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement