প্রতীকী ছবি।
কালীপুজো শেষ হতে না হতেই এ বার ছটপুজো। যে সমস্ত জলাশয়ে কালী প্রতিমা নিরঞ্জন হবে, সেখানেই হবে ছটপুজোর আয়োজন। তাই আজ, শুক্রবার নিরঞ্জন-পর্ব মেটার পরেই জলাশয় পরিষ্কার করতে প্রতিমার কাঠামো দ্রুত তুলে নেওয়া হবে।
দমদম পুরসভা জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ছটপুজোর জন্য জলাশয় সাফাই থেকে শুরু করে জলাশয়ের ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা, সবই সেরে ফেলা হবে দ্রুত। মেডিক্যাল ক্যাম্পও বসানো হবে। জলাশয়ের ধারে থাকবেন পুলিশ ও পুরসভার পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী। গোটা ব্যবস্থাপনা সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন পুরসভার কর্তারা। তাঁরাইতদারকি করবেন।
দমদমের ধোপাপুকুর-সহ বেশ কয়েকটি জলাশয়ে ছটপুজো হয়। ধোপাপুকুরেই জনসমাগম হয় বেশি। সেখানেই এখন কালীপুজোর বিসর্জন চলছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, ছটপুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম ঘটে ওই জলাশয়ে। প্রস্তুতি নেওয়ার বেশি সময় নেই। তাই শুক্রবার প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার পরেই দ্রুত কাঠামো তুলে জলাশয় সাফ করা হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ওই সমস্ত জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কম-বেশি একই ছবি উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। সেখানেও ছটপুজোর জন্য জলাশয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, প্রতিমার কাঠামো তোলার পরে জলাশয় ও তার আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করে ছটপুজোর জন্য ব্যবস্থা করা হবে। ওই পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকা পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো হবে, মশার ওষুধও স্প্রে করা হবে। পাশাপাশি, জলাশয় যাতে কোনও ভাবে দূষিত না হয়, তার জন্য সচেতনতার প্রচার চালানো হবে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, কালীপুজোর বিসর্জন এবং ছটপুজোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুব কম। তাই যে সব জলাশয়ে এ বার পুজো হবে, সেখানে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই সমস্ত জায়গায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, জল যাতে দূষিত না হয়, তা-ও দেখছে পুরসভা।