Toto

পুজোয় টোটোয় রাশ টেনে যান নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দমদমে

পুজোর দিনেও তৈরি হয়েছিল যানজটের আশঙ্কা। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে পুজোর দিনগুলিতে মোটের উপরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:
An image of Toto

—প্রতীকী চিত্র।

মহালয়ার পর থেকেই পুজোর ভিড় আর যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল রাস্তার। কোথাও আবার শম্বুক গতিতে চলেছে গাড়ি। যশোর রোড এবং তার সংযোগকারী দমদম
রোড-সহ একাধিক বড় রাস্তায় এমনই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। পুজোর দিনেও তৈরি হয়েছিল যানজটের আশঙ্কা। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে পুজোর দিনগুলিতে মোটের উপরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। বড় এবং ব্যস্ত রাস্তায় টোটো-সহ ধীর গতির যান চলাচলের উপরে রাশ টানাই এই সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়েরা।

ভিআইপি রোড থেকে দমদম পার্ক বরাবর একাধিক এলাকার পুজো ঘিরে এ বার বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর ভিড় হয়েছিল। সেই সঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছিল কয়েক গুণ। ভিআইপি রোডের একাংশে যানজটে ভোগান্তির মুখে পড়েছিলেন অনেকেই। সেই যানজটের প্রভাব এসে পড়েছিল উল্টোডাঙা, ইএম বাইপাস পর্যন্ত। টালা পার্ক এলাকার একাধিক পুজো ঘিরে শ্যামবাজার থেকে পাতিপুকুরমুখী রাস্তাতেও দেখা গিয়েছিল এক অবস্থা। যার কারণে যশোর রোডে কোথাও যানজট, কোথাও গাড়ির গতি শ্লথ হয়েছিল। ফলে পুজোর দিনেও বিকেল থেকে রাত প্রবল যানজটের আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে।

ব্যারাকপুর ট্র্যাফিক সূত্রের খবর, কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ধীর গতির যানচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় নির্দেশ। সেই মতো পুজোর দিনগুলিতে বিকেলের পরে ভিআইপি রোড থেকে লেক টাউন মোড় হয়ে যশোর রোড পর্যন্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাঙুর থেকে বিমানবন্দরের এক নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তায় টোটো-সহ ধীর গতির যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। এর ফলে মোটের উপরে গাড়ির গতি সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

বাসিন্দাদের মতে, পুজোর আগে থেকে বড় রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করার জন্যই
গাড়ির গতি সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে বাঙুর এবং দমদম পার্ক এলাকা সংলগ্ন আরও কয়েকটি মোড়ে রাস্তা পারাপার নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ, ওই অংশে দর্শনার্থীদের অনেককে নিয়ম মানতে দেখা যায়নি। এর জন্য মাঝেমধ্যেই সমস্যা হয়েছে। বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হওয়ার সময়েই এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হলে দুর্ভোগ আরও কম হত।’’ প্রসঙ্গত, কালীপুজোতেও দমদমে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। তাই সেই সময়ে ফের দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও ব্যারাকপুর ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যশোর রোডে যত্রতত্র গাড়ি রাখা এবং ধীর গতির গাড়ি চলাচলের উপরে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাতে আশানুরূপ সাড়া মিলেছে। কালীপুজো ঘিরেও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন