ফাইল চিত্র।
‘আমপান’ ও তার জেরে হওয়া অতিবৃষ্টির কথা মাথায় রেখে এ বার ‘জ়ওয়াদ’ সামলাতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে দমদমের তিনটি পুরসভা।
তিন পুরসভার কর্তৃপক্ষই বিভিন্ন দফতর ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সজাগ এবং সতর্ক থাকতে বলেছেন। গাছ কাটার বাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জমা জল সরাতে প্রতিটি পাম্পিং স্টেশনকে সক্রিয় রাখার প্রস্তুতিও চলছে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খোলা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
চলতি বছরেই লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছিল দমদমের তিনটি পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। যার জেরে বেশ কয়েক দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য ছিল, দমদমকে ঘিরে থাকা সব ক’টি খাল জলে ভরে ছিল বলেই জমা জল নামতে দেরি হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, শুধু খাল নয়, সংস্কার না হওয়ায় নিকাশি নালাগুলিও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সেই অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নিকাশি নালার সংস্কারের কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, দুর্যোগ সামলাতে ২৬টি পাম্প সক্রিয় রাখা হয়েছে। মুখ্য প্রশাসক জানান, এলাকায় জল জমলে তা যাতে দ্রুত সরানো যায়, তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে খালগুলি আবার জলে ভরে গেলে কী হবে, তার কোনও উত্তর অবশ্য মেলেনি। দমদম ও উত্তর দমদম পুরসভাও তাদের সব ক’টি পাম্প সক্রিয় রাখছে বলে জানিয়েছে।
এ বারের বৃষ্টির মরসুমে দক্ষিণ দমদমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গেও সমন্বয় রাখা হয়েছে। যাতে প্রয়োজন হলেই সেখান থেকে কর্মীরা চলে আসেন। এমনটাই জানিয়েছেম দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাপি মিত্র।
দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বরুণ নট্ট জানান, ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি দফতরকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদেরও সতর্ক করা হয়েছে। উত্তর দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বিধান বিশ্বাস
জানান, পুরসভার ৩৪টি পাম্প সক্রিয় রাখা হবে। তাঁরাও বিদ্যুৎ দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। ওই পুর এলাকার জলাধারগুলিতে আগে থেকেই জল ভরে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।