রমে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভুগতে হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক দিন ধরে সিইএসসি অধ্যুষিত কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাগাড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে ভুগতে হয়েছে নাগরিকদের। শুক্রবারও খানিকটা তেমনই ছবি দেখা গেল। যদিও বিগত অন্য কয়েকটি দিনের তুলনায় এ দিনের তাপমাত্রা কম ছিল। তাতেও এ দিন দক্ষিণ কলকাতার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের যোধপুর পার্কের একাংশ টানা প্রায় ছ’ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকল। বাদ যায়নি একই ওয়ার্ডের যোধপুর গার্ডেনও। গরমে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভুগতে হয়েছে। গরমে দুর্বিষহ অবস্থা হয় শিশু, প্রবীণ নাগরিক-সহ অসুস্থদের।
সূত্রের খবর, এ দিন যোধপুর পার্কে একটি বৈদ্যুতিক স্তম্ভে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে দমকল যায়। পরে সিইএসসি-র কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করেন। সিইএসসি-র তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, যোধপুর পার্কে বৈদ্যুতিক কেব্লে আগুন লাগায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। অতিরিক্ত এসি ব্যবহারে এই বিপত্তি বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তুলনায় সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের হার বেশি। সিইএসসি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক দিনের প্রবল গরম থেকে বাঁচতে গ্রাহকেরা অতিরিক্ত (সিইএসসি অনুমোদন ছাড়া) এসি ব্যবহার করায় এই বিপত্তি হয়েছে। সিইএসসি সূত্রের খবর, কলকাতায় গ্রাহকেরা সংস্থার কাছে একটি এসি-র জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক এসি তাঁরা যথেষ্ট লোড নিয়ে ব্যবহার করছেন। যার প্রভাব পড়ছে নিকটবর্তী ট্রান্সফর্মারে। ফলে ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে বিপত্তি ঘটছে। তা সারাতে সময় লাগছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে সিইএসসি-র আবেদন, যথাযথ অনুমোদন নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এ দিন বলেন, ‘‘যোধপুর পার্কে একটি বৈদ্যুতিক কেব্লে আগুন লেগেছিল। যার জন্য ওই বিপত্তি ঘটেছে। খবর পেয়ে সিইএসসি-র কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলের মধ্যে মেরামতির কাজ শেষ করেন।’’ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তুলনায় সিইএসসি অর্থাৎ, কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এ ব্যাপারে সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল বাড়াতে বলেছেন তিনি।
গত শনি এবং রবিবার কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর ও সাহাপুর কলোনি এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকায় রবিবার রাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মৌসুমী দাসের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিন মৌসুমী জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়মানুষ বাড়িতে বেশি সংখ্যক এসি চালাচ্ছেন। যে কারণে ট্রান্সফর্মারে চাপ পড়ছে।