—ফাইল চিত্র।
গাড়িচালকেরা সাবধান। আসন্ন উৎসবের মরসুমে বেপরোয়া গতিতে অথবা মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে পড়তে হবে পুলিশের রোষে। স্টিয়ারিংয়ে মত্ত অবস্থায় ধরা পড়লে হাজতবাস তো হবেই। একই সঙ্গে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালালেও রেহাই মিলবে না।
লালবাজার সূত্রের খবর, এমনিতে প্রতি সপ্তাহান্তে কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ড মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার পাশাপাশি এ বার বড়দিন থেকে শুরু হওয়া উৎসবের সময়ে দুর্ঘটনা কমাতে বেপরোয়া গাড়ি আটকে মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাতের ফাঁকা রাস্তায় উদ্দাম গতিতে চলা গাড়ি আটকে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। মঙ্গলবার লালবাজারে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসি-দের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা।
রাতের শহরে মত্ত চালকদের আটকাতে কয়েক বছর ধরেই ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কেউ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন কি না, তা পরীক্ষা করাই ওই যন্ত্রের কাজ। সেই ‘গন্ধ বিচারে’ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতি সপ্তাহেই ধরা পড়ছেন চালকেরা। তাঁর জেল বা জরিমানা হচ্ছে। পুলিশের একাংশের দাবি, এই অভিযানের ফলে শহরের রাস্তায় নেশা করে গাড়ি চালানো কিছুটা কমানো গিয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
লালবাজার সূত্রে খবর, প্রতি বছরই উৎসবের মরসুমে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি-বাইক চালানো কার্যত অভ্যাস হয়ে গিয়েছে একটি অংশের কাছে। গত কয়েক সপ্তাহে ইএম বাইপাসে বেপরোয়া গাড়ি-দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। পুলিশের একাংশের মতে, সে কথা মাথায় রেখেই মত্ত চালকদের সঙ্গে বেপরোয়া গাড়ি এবং বাইকচালকদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
লালবাজারের কর্তাদের আরও নির্দেশ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ছাড়াও অন্য জায়গায় অভিযান চালাতে হবে। বিশেষত বেছে নিতে হবে এমন জায়গা যেখানে পানশালা রয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন বড়দিন কিংবা বছর শেষের উৎসব শুধু মধ্য কলকাতায় আটকে নেই। তা ছড়িয়ে পড়েছে বাইপাস-সহ শহরতলির বিভিন্ন জায়গায়। তাই পার্ক স্ট্রিটের মতো ওই সব এলাকাতেও বেপরোয়া গাড়ি, হেলমেটহীন মোটরবাইকের বিরুদ্ধে রাতে লাগাতার অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। যাতে গাড়ি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পাশাপাশি জেল ও জরিমানা, দু’টোই হতে পারে চালকের।