পরিষেবা শুরুর আশ্বাস নিয়ে ধন্দ

গঙ্গা থেকে জল এনে তা পানযোগ্য করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বার বাড়িগুলিতে সংযোগ দেওয়ার জন্য পাইপলাইন পাতা শুরু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

সময়সীমা ধার্য করা আছে আগামী বছরের অক্টোবর। অথচ মন্ত্রীদের আশ্বাস দ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি। কিন্তু তা কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

গঙ্গা থেকে জল এনে তা পানযোগ্য করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বার বাড়িগুলিতে সংযোগ দেওয়ার জন্য পাইপলাইন পাতা শুরু হবে। মঙ্গলবার কেষ্টপুর মোড়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে সে কাজেরসূচনা হল। মঞ্চ থেকে মন্ত্রী ও সাংসদেরা দাবি করলেন, দ্রুত পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন এলাকাবাসী। অথচ ভূগর্ভস্থ এবং মাটির উপরের জলাধার তৈরির কাজ শেষ করে প্রথম পর্যায়ে সেই জল পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর সময়সীমা ধার্য হয়েছে ২০১৯-এর অক্টোবরে। ফলে লাইন পাতার কাজ সময়ে শেষ হলেও সল্টলেকের একাংশ এবং বিধাননগর পুরসভার ২২-২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িগুলিতে দ্রুত পরিস্রুত জল সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।

এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কারিগরি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেন প্রমুখ। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, নগরোন্নয়ন দফতর এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের যৌথ উদ্যোগের এই জলপ্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, আধুনিক শহরে জল, নিকাশি-সহ জরুরি পরিষেবার পরিকাঠামো থাকা উচিত। অথচ সল্টলেকের মতো পরিকল্পিত শহরে পরিস্রুত পানীয় জলের সে রকম ব্যবস্থা নেই। তাঁর অভিযোগ, ঘোষণা করেও বাম সরকার জলপ্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পারেনি। অথচ বহু সরকারি টাকা ব্যয় হয়েছে।

Advertisement

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, পাইপলাইন পাতা শুরু হচ্ছে। দ্রুত বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সাংসদ দোলা সেনের দাবি, গত ৫০ বছরে এমন কাজ হয়নি। মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু থেকে সাংসদ সৌগত রায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহকে রাজ্যের সাফল্য বলে তুলে ধরেন। প্রকল্পটি শেষ হলে বড় অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছেন খোদ জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী।

এ দিকে দু’টি স্কুল চলাকালীন সংলগ্ন মাঠে এই অনুষ্ঠান করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন দেখা গেল, একটি স্কুলের বারান্দা থেকে বেঞ্চে বসে অনুষ্ঠান শুনছে বেশ কিছু পড়ুয়া। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয়দের একাংশের কথায়, সল্টলেক, দমদম এবং কেষ্টপুরের মাঝে এটাই সংযোগকারী জায়গা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বৈঠক ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement