পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, জল সরবরাহের ক্ষেত্রে পুরসভা উন্নতি করলেও এখনও চাহিদা পুরো মেটানো যায়নি। বিগত পুর বোর্ডের সময় থেকেই পরিকল্পনা করে সে সব কার্যকর করার কাজ চলছে। নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হবে।
প্রতীকী ছবি।
চাহিদার তুলনায় জোগান এমনিতেই কম। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চাহিদা আরও বাড়ে। উপরন্তু রয়েছে অপচয়ের সমস্যাও। সব মিলিয়ে পরিস্রুত জল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় উত্তর দমদম পুরসভা। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুরসভার জনসংখ্যার নিরিখে বেশ কিছু এলাকায় সরবরাহ কম। অনেককে জল কিনে খেতে হচ্ছে। গরম বাড়তেই সমস্যা আরও বেড়েছে। এখনও বহু বাড়িতে নেই জলের সংযোগই। সমস্যার কথা স্বীকার করে উত্তর দমদম পুর কর্তৃপক্ষ জানান, জলের ঘাটতি মেটাতে ১৬৫ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে জল প্রকল্প করা হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেটি শেষ করতে প্রায় দু’বছর লাগবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকায় প্রায় ৬৭ হাজার প্লট আছে। তার মধ্যে প্রায় ৪৯ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ রয়েছে। এ বার প্রায় ১৮ হাজার বাড়িতে অম্রুত ২ প্রকল্পের আওতায় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কাজের জন্য ব্যয় হবে ২২ কোটিরও বেশি টাকা। সেই প্রকল্পে পাইপলাইন পাতার কাজ শুরু হবে আগে। পাশাপাশি, দু’টি উচ্চ জলাধার তৈরি করা হবে। পুরসভা এলাকায় বর্তমানে ১১টি উচ্চ জলাধার রয়েছে। এই কাজ শেষ হলে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জলের অপচয় বন্ধ না করলে চাহিদা মেটানো মুশকিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা রমেন হাজরা জানান, পুর এলাকায় বহুতলের সংখ্যা বাড়ছে। জলের চাহিদা আরও বাড়বে। কিন্তু যে ভাবে জল নষ্ট হয় বা যেমন খুশি ব্যবহার করা হয়, তা বন্ধ করতে না পারলে সমস্যা থেকেই যাবে।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি, জল কতটা ব্যবহার হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে জলের মিটারও বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে বরাহনগর জল প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৭০ লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা হয় উত্তর দমদম পুর এলাকায়। যদিও অপচয়-সহ চাহিদা প্রতিদিন ১১০ লক্ষ গ্যালন।
পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, জল সরবরাহের ক্ষেত্রে পুরসভা উন্নতি করলেও এখনও চাহিদা পুরো মেটানো যায়নি। বিগত পুর বোর্ডের সময় থেকেই পরিকল্পনা করে সে সব কার্যকর করার কাজ চলছে। নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হবে।