প্রয়াত চিকিৎসক মণীশ প্রধান। —ফাইল চিত্র
প্রয়াত শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মণীশ প্রধান। রবিবার উত্তর কলকাতার বাগবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে প্রায় এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একাধিক অঙ্গ কাজ না করার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ওই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মণীশবাবুর স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে কলকাতাতেই থাকেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যাও ছিল। সপ্তাহখানেক আগে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনই তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আর লড়াই করতে পারেননি। ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’-এ এ দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মণীশবাবু ছিলেন চেস্ট স্পেশালিস্ট। আরজি কর হাসপাতালে বক্ষ ও ফুসফুস বিভাগের প্রধান পদে থাকার সময় ১৯৮৪ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। তার পরেও দীর্ঘদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছেন। মণীশবাবুর স্নেহভাজন ও প্রায় সর্বক্ষণের সঙ্গী স্বপন সাহা বলেন, ‘‘তিন বছর আগে পর্যন্ত উনি চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু অ্যালঝাইমার্স আর হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আর পেরে ওঠেননি।’’ মণীশবাবু চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপর ১৫টি বই লিখেছেন। পেয়েছেন এশিয়াটিক সোস্যাইটির বার্কলে পুরস্কারও পেয়েছেন। লিখেছেন আত্মজীবনী ‘ফেলে আসা দিন’।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক উত্তীর্ণকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ, বাসে আগুন, অবরোধে অগ্নিগর্ভ চোপড়া
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক? সকাল থেকে বেহালার রাস্তায় পড়ে রইলেন বৃদ্ধ