প্রতীকী ছবি।
ফের বিধাননগর পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেল বধূ নির্যাতনের মামলায় ধৃত এক ব্যক্তি। ঘটনাটি সোমবার রাতের। পরে অবশ্য পলাতক ওই ব্যক্তিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিছু দিন আগেও বিমানবন্দর থানা থেকে পালিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পরপর দু’বার দু’টি ভিন্ন থানার তিন অভিযুক্তের পালানোর ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তবে বধূ নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত পলাতককে ফের ধরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, দু’টি ঘটনাতেই ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত করে গাফিলতি চিহ্নিত করা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বধূ নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত সত্যজিৎ প্রামাণিককে নিয়ে নিউ টাউনের একটি বাড়িতে গিয়েছিল বিধাননগর মহিলা থানার পুলিশ। ওই মামলা সম্পর্কিত কিছু জিনিস সেখান থেকে উদ্ধার করতে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সব জিনিস নিয়ে তদন্তকারীরা যখন ব্যস্ত ছিলেন, তখন কোনও ভাবে নজরদারি এড়িয়ে সেখান থেকে সত্যজিৎ পালিয়ে যায়।
এর পরেই পাশের জেলার বিভিন্ন থানায় খবর পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তির খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ। সোমবার রাতভর তল্লাশি চালিয়েও হদিস মেলেনি পলাতকের। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের মধ্যেই ফের সত্যজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ধরা হয়েছে ওই পলাতককে।
এর আগে ২০ জুলাই সকালে সাড়ে ন’টা নাগাদ দমদম পুর হাসপাতাল থেকে কয়েকজন অভিযুক্তের স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করিয়ে ফিরছিল বিমানবন্দর থানার পুলিশ। সে সময়ে দু’জন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এই ঘটনার দু’দিনের মাথায় ফের এক অভিযুক্ত পালানোর ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি ঘটনায় কী ভাবে অভিযুক্তেরা পালাল, তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে। তাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এক পুলিশকর্তা।