Doctors Community

ডাক্তারকে পুলিশের চড়, গ্রেফতারির দাবিতে পথে চিকিৎসকেরা

সোমবার দক্ষিণ কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতাল থেকে আলিপুর থানা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী এবং মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৪২
Share:

গ্রেফতারির দাবিতে পথে। নিজস্ব চিত্র।

ওসি-র হাতে ‘চড়’ খেয়েও প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটলেন না সেই চিকিৎসক। কিন্তু তাঁর সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামলেন তাঁরই সহকর্মীরা। পাশে পেলেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকদেরও। এমনকি যাদবপুর থানার ওসি-কে গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধও হল।

Advertisement

সোমবার দক্ষিণ কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতাল থেকে আলিপুর থানা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী এবং মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। মিছিল শেষে এফআইআর দায়ের করতে গেলে থানা তা নিয়ে অস্বীকার করে। এর পরেই ভবানীভবন এবং আলিপুর থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন চিকিৎসকেরা।

গত বুধবার যাদবপুর থানার ওসি প্রদীপকুমার দত্তের বিরুদ্ধে হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসক শ্রীনিবাস গেদ্দেকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকদের একটা অংশ। রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইএমএ-র সম্পাদক শান্তনু সেন নিজেই ওসির গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্যাকেটে মরা বাচ্চা ‘দেখল’ কে? মুখে কুলুপ এঁটেছে কলকাতা পুলিশ

কিন্তু এর পরেই দেখা যায় অন্য ছবি। নিগৃহীত চিকিৎসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিযু্ক্ত ওসি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার দাবি করেছিলেন, “আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ওসি দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”

যদিও ওই নিগৃহীত চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠমহল থেকে দাবি করা হয়, ক্ষমা চাইলেই কীসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। অভিযুক্ত ওসি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রবিবারের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে, সোমবার মিছিল করে প্রতিবাদ জানানো হবে। এদিন তার ব্যতিক্রম হয়নি। জমায়েতও ভাল হয়। শুধু তাই নয়, পথ অবরোধ করে নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।মঙ্গলবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরিষেবা বন্ধ রাখার কর্মসূচিও রয়েছে।

আরও পড়ুন: পেরিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা, শিশু খুনে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা

যদিও পুলিশের তরফে প্রথম থেকে চড় বা ঘুসি মারার অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে দাবি করা হয়েছিল, ওসি ওই হাসপাতালে একজন রোগী হিসাবে ভর্তি হয়েছিলেন। মাথা গরম করে ফেলেছিলেন। চিকিৎসককে তিনি চিনতে পারেননি।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement