২১শের শিবিরে যেতে ‌ডাক্তারদের ‘নির্দেশ’, বিতর্ক

হাসপাতাল সূত্রের খবর, জুনিয়র চিকিৎসকদের ফোন নম্বর-সহ দিনের কোন সময়ে কাকে ওই ডিউটিতে যেতে হবে, তা নোটিস বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০২:৩২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কোথাও কোনও সিলমোহর বা সই নেই। শুধু নোটিসের শিরোনামে লেখা ‘সল্টলেক ডিউটি রোস্টার’। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের নোটিস বোর্ডে এ হেন বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি হওয়া সল্টলেকের শিবির এবং ধর্মতলার সভামঞ্চে সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঠাতেই এমন বিজ্ঞপ্তি। জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান, শুক্র, শনি ও সোমবার তাঁদের সল্টলেকের শিবিরে যেতে বলা হয়েছে। আর রবিবার যেতে বলা হয়েছে ধর্মতলার সভাস্থলে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, জুনিয়র চিকিৎসকদের ফোন নম্বর-সহ দিনের কোন সময়ে কাকে ওই ডিউটিতে যেতে হবে, তা নোটিস বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম থাকা চিকিৎসকদের কাছে থাকছে গাড়ির চালকের নম্বরও। সেই গাড়িতেই ওই বিশেষ ডিউটিতে যেতে হচ্ছে তাঁদের। তবে অন্দরের খবর, ইতিমধ্যেই জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমাবেশের জন্য শিবির বা সভাস্থলে যেতে আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। উল্টে অলিখিত নির্দেশ না মানলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি নয়, এ কাজে হাউসস্টাফ, পিজিটি-রাই নির্দেশ না মানলে কী ফল হতে পারে, তা সতীর্থদের বোঝাচ্ছেন।

ন্যাশনাল মেডিক্যালের পাশাপাশি এনআরএসেও জুনিয়র ডাক্তারদের শিয়ালদহ স্টেশনের শিবিরে হাজির থাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখানকার এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছে, এক বার গিয়ে সই করে চলে আসলেও হবে। কিন্তু যেতে হবে।’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, সম্প্রতি রোগী-কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি। সেই কারণেই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর চাপ আরও বেশি বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের।

Advertisement

নোটিস টাঙানোর বিষয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন কিছু হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’’

‘অল ইন্ডিয়া ডিএসও’র রাজ্য সভাপতি মৃদুল সরকার বলেন, ‘‘বাম আমলের কায়দায় ডাক্তারদের উপরে দলতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে জোর করে তাঁদের তৃণমূলের সভায় পাঠানোর বিরোধিতা করছি। অবিলম্বে নোটিস বোর্ড থেকে বেআইনি নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে।’’ এ বিষয়ে নির্মল মাজি বলেন, ‘‘সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ। শুধুমাত্র আমাদের সংগঠনের সদস্য জুনিয়র ডাক্তারদেরই যেতে বলা হয়েছে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement