doctor

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি! মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করলেন চিকিৎসক

ওষুধের দাম বাড়লে সমস্যায় পড়েন রোগীরা। বিশেষত রোগ নিয়ন্ত্রণে যাঁদের দিনের পর দিন ওষুধের উপর নির্ভর করতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ ০০:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিজেদের কোম্পানির ওষুধের গুণাগুণ সবিস্তারে তুলে ধরতে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা নিয়মিত দেখা করেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। চিকিৎসকেরাও নিজেদেরকে ওয়াকিবহাল রাখেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে দেখা করে। কিন্তু ওষুধের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বার সেই ‘সাক্ষাৎ’পর্বই বন্ধ করে দিতে চাইছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে বার্তাও দিতে চান বলে জানিয়েছেন।

পেট্রোপণ্য থেকে ওষুধ— সব কিছুরই ক্রমাগত দাম বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। যোগীরাজের দাবি, একাধিক রোগে আক্রান্ত বা পুরনো রোগের ক্ষেত্রে অনেককেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এ রকম অবস্থায় রোগীকে দৈনিক তিন থেকে চারটি ওষুধ খেতে হলে মাসিক খরচ কয়েক হাজার টাকা হয়ে যায়। ওষুধের সংখ্যা বাড়লে বাড়ে খরচও। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক রোগী এত টাকা খরচ করতে পারেন না যে নিত্যনতুন দামি ওষুধ লিখব! খারাপও লাগে। তাই ওষুধের বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে কী করব? রোগীর পরিবার যদি সেটা কিনতে না পারেন তা হলে লাভ কী!’’ তাঁর মতে, ‘‘আমরা শুধু ওষুধের দাম কমানোর কথা বলি। আদৌ সেটা ঠিক জায়গায় পৌঁছচ্ছে কি না জানি না। তাই ঠিক করেছি, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে দেখা করব না।’’

Advertisement

মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের উদ্দেশে লেখা চিঠি।

যোগীরাজের অভিনব এই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নের পক্ষে অরুণাভ ধর বলেন, ‘‘দাম বাড়লে সংস্থাগুলির লাভ হয় ঠিকই, কিন্তু মানুষ ওষুধ কিনতে না পারলে আমাদের কাজের কী কোনও দাম থাকে? আমরাও চাইছি ওষুধের দাম কমুক। তবে এটা ঠিক যে, যোগীরাজ রায়ের সিদ্ধান্তে আমাদের কাজের অসুবিধা হবে। কিন্তু বৃহৎ স্বার্থের কথা ভেবে ওঁকে সাধুবাদ জানাই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement