পথ দেখিয়েছে কলকাতা। সেই পথে হেঁটেই সৌন্দর্যায়ন এবং সুরক্ষায় মনোযোগ দিতে চলেছে বরাহনগর পুরসভা। সিঁথির মোড় থেকে ডানলপ মোড় পর্যন্ত বিটি রোডের প্রায় দু’ কিলোমিটার অংশে হচ্ছে ডিভাইডার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার ক্ষমতায় এসেই শহরের সৌন্দর্যায়নের কথা বলেছিলেন। সেই মতো কলকাতা পুরসভা গত কয়েক বছরে ধাপে ধাপে শহরের উত্তর ও দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বিশেষ ধরনের ডিভাইডার তৈরি করেছে। গাছ দিয়ে সাজানো উঁচু এই ডিভাইডার সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধেও উপযুক্ত। ব্যস্ত রাস্তায় যত্রতত্র পারাপারের প্রবণতার জন্যে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটত। ডিভাইডারগুলি তৈরির পর থেকে তা অনেকাংশে কমেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এ বার কোমর বেঁধেছে বরাহনগর পুরসভাও। বরাহনগর পুরসভা সূত্রে খবর, সিঁথির মোড় থেকে ডানলপ মোড় পর্যন্ত প্রায় ২.২৫ কিমি-র পুরো অংশে এই ডিভাইডার করা যাবে না। কারণ, আইএসআই-এর পরে ডানলপের মুখ থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণেশ্বরমুখী উড়ালপুল। সূত্রের খবর, ওই অংশে ডিভাইডার হলে রাস্তা আরও সরু হয়ে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই বাদ যাবে ওই অংশ।
প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। টেন্ডার ডাকার কাজও প্রায় শেষের পথে। কাজ শুরু হবে আগামী মাসে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কলকাতা পুরসভার তৈরি ডিভাইডারের প্রতিরূপ হবে নতুন এই ডিভাইডার। এই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। টাকা দেবে মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স দফতর। এই কাজের জন্যে যোগাযোগ করা হয়েছে পূর্ত দফতর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সঙ্গে। ডিভাইডার তৈরি হলে যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের পাশাপাশি গাড়ির ইউ টার্ন নেওয়াও ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন বরাহনগর পুর কর্তৃপক্ষ।