ফাইল চিত্র।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল একের পর এক ভেড়ি। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল লক্ষাধিক টাকার মাছ।
স্থানীয়েরা কেউ জাল, কেউ বা গামছা দিয়ে মহানন্দে সেই মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও মাথায় হাত পড়েছিল ভেড়িমালিকদের। তাই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে আতঙ্কে ভুগছেন বারাসতের শাসনের ভেড়িমালিকেরা।
গত সপ্তাহের রবি ও সোমবারের টানা বৃষ্টিতে বিদ্যাধরীর শাখানদীর জল ভাসিয়ে দিয়েছিল বারাসত ব্লক এলাকার খড়িবাড়ি, শাসন
এলাকার একের পর এক ভেড়ি। জলে ভেসে বেরিয়ে গিয়েছিল বড় বড় রুই, কাতলা, চিংড়ি। যা ধরতে গত কয়েক দিন ভেড়ির আশপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়েরা।
অল্প দামে সেই সব মাছ ভেড়ির পাশে বসেই বিক্রি করেছেন তাঁরা। আর তা কিনতে দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন লোকজন, শিকেয় উঠেছিল
দূরত্ব-বিধি।
তাই ফের নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন ভেড়িমালিকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিদ্যাধরীর জল এ ভাবেই ঢুকে পড়েছিল শাসনের বিভিন্ন ভেড়িতে। চলতি সপ্তাহেও বিদ্যাধরীর উপ শাখা থেকে জল স্থানীয় ছোট পোল, বড় পোল, লাঙলপোঁতা-সহ একাধিক খাল থেকে ভেড়িতে ঢুকে পড়ে। জল উঠে আসে বড় রাস্তায়। আর তার সঙ্গে সঙ্গে ভেড়ির সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে যায় লক্ষাধিক টাকার মাছ।
মহম্মদ রশিদ আলি নামে এক ভেড়িমালিক জানাচ্ছেন, গলদা, বাগদার পাশাপাশি সব ধরনের রুপোলি মাছের চাষ হয় শাসনের ভেড়িগুলিতে। সেই সব কয়েক লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আপাতত মাছচাষিদের মাথায় হাত। রশিদের কথায়, ‘‘গরিব মানুষ মাছ ধরে বিক্রি করে
সামান্য রোজগার করছেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। ইয়াসের সময়েও একই ঘটনা ঘটেছিল। আবার দুর্যোগ আসছে বলে শুনছি। কী হবে জানি না।’’