এমনই একাধিক ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড ও হাওড়া স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পথে সফরের ক্ষেত্রে যাত্রীদের বিভ্রান্তি দূর করতে এ বার একাধিক জায়গায় ফ্লেক্স বসানোর উপরে জোর দিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই সব ফ্লেক্স যাত্রীদের পথনির্দেশ বোঝার ক্ষেত্রে সমস্যার অনেকটাই সুরাহা করবে বলে আশাবাদী মেট্রোর কর্তারা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এসপ্লানেড এবং হাওড়া ময়দান স্টেশনের মধ্যে দু’টি রেক লাইন বদল না করেই যাতায়াত করছে। অর্থাৎ, ওই পথে আপ এবং ডাউন ট্রেনের জন্য নির্দিষ্ট লাইন নেই। একটিই ট্রেন পর্যায়ক্রমে আপ এবং ডাউন হিসাবে ছুটছে। এই সমস্যার কারণে মহাকরণ এবং হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের ঘোরতর বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। ওই দু’টি স্টেশনে নিরন্তর ঘোষণা করেও সমস্যা মেটানো যাচ্ছিল না।
বাধ্য হয়ে ওই দুই স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের উপরের দিকে কাগজের পোস্টার সেঁটে এসপ্লানেড এবং হাওড়া ময়দানমুখী মেট্রোর পথ তিরচিহ্ন দিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়াও, এসপ্লানেড স্টেশনে নেমে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর যাত্রীরা কোন পথে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছবেন, তা বোঝাতেও ফ্লেক্স বসানো হয়েছে। মহাকরণ, হাওড়া এবং হাওড়া ময়দান স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকা এবং বেরিয়ে আসার পথ আলাদা করার লক্ষ্যেও বসানো হয়েছে ফ্লেক্স।
তবে, মহাকরণ এবং হাওড়ায় এখনও বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মে সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়া ময়দানমুখী ট্রেনের নির্দেশক-বোর্ড। ওই বোর্ড ঢেকে দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে স্টেশনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডেও ট্রেন আসার সময় এবং অভিমুখ যথাযথ ভাবে ফুটে উঠছে না। পাশাপাশি, এসপ্লানেড স্টেশনে দুই মেট্রোর সংযুক্ত পথ প্রায়ই ভিড়ে গিজগিজ করছে। ওই পথে যাত্রীদের যাওয়া এবং আসার জায়গার একাংশ গ্রিল দিয়ে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। তাতে সমস্যা কিঞ্চিৎ কমলেও পুরো মেটেনি।