ব্যবস্থা: গঙ্গাসাগরের জল মেশানো চৌবাচ্চায় স্নান সারছেন পুণ্যার্থীরা। বৃহস্পতিবার, বঙ্গবাসী ময়দানে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
আউট্রাম ঘাট সংলগ্ন বঙ্গবাসী ময়দানে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মকর সংক্রান্তির ই-স্নান করলেন পুণ্যার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা বুধবার রাত থেকেই স্নান শুরু করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবাসী ময়দানে মহিলা ও পুরুষদের জন্য নির্মিত ই-স্নানাগারে এ দিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় হাজার দেড়েক পুণ্যার্থী স্নান করেছেন বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। তাঁদের অনেকে স্নান সেরে বঙ্গবাসী ময়দান থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা হন।
জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘শুধু ভিন্ রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা নন, কলকাতা এবং আশপাশের জেলা থেকে এসে অনেকেই বঙ্গবাসী ময়দানের ই-স্নানাগারে মকর সংক্রান্তির স্নান করেছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে দেওয়া পিতলের কমণ্ডলুতে ভরা গঙ্গাসাগরের জল নিয়ে মাথায় দিয়েও স্নান সেরেছেন বহু পুণ্যার্থী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মকর সংক্রান্তিতে শুধু পুণ্যস্নান নয়, ভিন্ রাজ্যের পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর ও কপিল মুনির মন্দির দর্শনের জন্যও আসেন। তাঁদের অনেকেই বাস ও ট্রেনে সরাসরি গঙ্গাসাগর পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবাসী ময়দানে ই-স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জোরদার প্রচার চলছে। এ ছাড়া গঙ্গাসাগরে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ রয়েছে। সেই কারণে অনেকে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে বঙ্গবাসী ময়দানে ফিরে এসে মকর সংক্রান্তির দিনে ই-স্নান করেছেন।’’