—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ মাসের শুরুতে পূর্ব-মধ্য রেলে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে গুরুতর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে ফাঁস করার অভিযোগ ওঠে। ১৭ জন ট্রেনচালককে গোপনে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থা হাতেনাতে বিষয়টি ধরার পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১.১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে। আট জন আধিকারিক-সহ ২৬ জন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
ওই ঘটনার পরে রেল বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোগে বিভাগীয় পরীক্ষা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যে কারণে কলকাতা মেট্রো রেলেও বিভিন্ন বিভাগীয় পদোন্নতি সংক্রান্ত পরীক্ষা থমকে। তার মধ্যে গ্রুপ সি পরীক্ষার মাধ্যমে গ্রুপ বি বিভাগে আধিকারিক পর্যায়ে পদোন্নতির পরীক্ষাই প্রধান। সরকারি নির্দেশিকার মাধ্যমে সিলেকশন গ্রেডে ‘লিমিটেড ডিপার্টমেন্টাল কম্পিটিটিভ এগজ়ামিনেশন’ (এলডিসিই) এবং ‘জেনারেল ডিপার্টমেন্টাল কম্পিটিটিভ এগজ়ামিনেশন’ (জিডিসিই) অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর শূন্য পদ পূরণে পরীক্ষা নেওয়া হত পূর্ব রেলের মাধ্যমে। সেই পরীক্ষা বাতিল ঘোষিত হওয়ায় পূর্ব রেলের সঙ্গে মেট্রোর পরীক্ষাও বাতিল হয়েছে। চাকরির মেয়াদ, বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ী যে পদোন্নতি হয়, তা চালু থাকলেও অন্য ক্ষেত্রগুলি বাতিল হয়েছে।
ওই সব পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে রেল বোর্ড কম্পিউটার-নির্ভর অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা চালু করতে পারে। আধিকারিকদের একাংশের মতে, এর ফলে পদোন্নতি নিয়ে টাকাপয়সার লেনদেন বন্ধ হবে।