সন্তান-সহ মৃত্যু প্রসূতির, বিক্ষোভ

ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তাই অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০০:২৮
Share:

ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তাই অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। কাজ শুরু হয়েছিল হাওড়া জেলা হাসপাতালেও। কিন্তু তার পরেও হাওড়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি তা শুক্রবার রাতে আবার সামনে এল।

Advertisement

হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাওড়ার শিবপুরের বৈষ্ণবপাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার বসু শুক্রবার বিকেলে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ললিতা বসুকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করেন। ললিতাদেবীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, হাসপাতালে আনার সময় থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। যন্ত্রণা শুরু হয়। শুরু হয় রক্তক্ষরণও। স্ত্রী কষ্ট পাচ্ছেন দেখে রাজকুমারবাবু চিকিৎসকদের অবিলম্বে সিজার করার অনুরোধ করেন। অভিযোগ, হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ জানান, এখনই অপারেশন করার দরকার নেই। প্রসূতির আত্মীদের বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয়, দরকারে রাতে খবর দেওয়া হবে।

শনিবার রাজকুমারবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের কথা শুনে রাত ৮টা নাগাদ আমরা বাড়ি চলে যাই। এর পর রাত ১১টা নাগাদ আমাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়ে জানানো হয় আমার স্ত্রী এবং সন্তান— দু’জনকেই বাঁচানো যায়নি।’’ রাজকুমারবাবুর অভিযোগ, চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

খবর পেয়ে প্রসূতির পরিজন ও বন্ধুবান্ধব এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

কর্তৃপক্ষ অবশ্য চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি। হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটা দুঃখজনক। তবে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ঠিক না। চিকিৎসকরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement