ভেঙে পড়েছেন মণিকাদেবী। শনিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
তিনি কেমন আছেন খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল, শনিবার সন্ধ্যাতেও অন্ধকার ঘরে একাই বসে কালিন্দী হাউসিং এস্টেটের বৃদ্ধা মণিকা দত্ত। দিনটা কী ভাবে কেটেছে? মণিকাদেবী জানালেন, পায়ে খুব ব্যথা। এ দিকে, ঘরে রয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। তাই দিন কাটিয়েছেন তিনি শুধু বিস্কুট আর জল খেয়েই। কারণ যিনি রোজ খাবার দিয়ে যান, তিনি শুক্রবার থেকে আসেননি বলেই জানালেন বৃদ্ধা।
শুক্রবারই ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে, বাইরে থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় রয়েছেন মণিকাদেবী। তাঁর অভিযোগ, রোজ এ ভাবেই দিন কাটে তাঁর। অভিযোগ, মেয়েরা খোঁজ-খবর নেন না। শুধু সন্ধ্যায় এসে রাতের এবং পরদিন দুপুরের খাবার দিয়ে যান এক জন। মণিকাদেবী সে কথা এক পড়শিকে ফোন করে জানালে, তার পরে খবর যায় লেকটাউন থানায়। স্থানীয় বাসিন্দারা শনিবার জানান, এ দিনও তাঁর বাড়িতে কোনও আত্মীয়কে আসতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের সঙ্গে এ দিন দেখা করেছেন মণিকাদেবীর মেয়ে-জামাই। অভিযোগ আছে তাঁদেরও। তাঁদের দাবি, মা কোনও বিষয়েই সহযোগিতা করেন না তাঁদের সঙ্গে। আগেও তাঁদের পারিবারিক সমস্যা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কথা হওয়ার পরে তিনি জানান, মা ও দুই মেয়েকে সামনাসামনি বসিয়ে এই সমস্যার মিটমাটের চেষ্টা করবেন তাঁরা।