পান্নালাল ভট্টাচার্য
‘ও পার আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে’!— এটাই ছিল তাঁর গাওয়া শেষ গান। ১৯৬৬ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন শ্যামাসঙ্গীতশিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্য। সেই পান্নালালবাবুর স্মৃতিতে কিছু করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লিখলেন তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা শর্বরী ভট্টাচার্য।
পান্নালালবাবুর মৃত্যুর পরে কেটে গিয়েছে ৫২ বছর। এত বছরে কি তাঁকে ভুলে গিয়েছেন সকলে? প্রশ্ন তুলছেন শর্বরীদেবী। তাই বাবার স্মৃতিতে কিছু করার অনুরোধ জানিয়ে সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শর্বরীদেবীর কথায়, ‘‘বাবার জন্য কেউ কিছু করেননি। শিল্পীরা শুধু তাঁর গাওয়া গান গেয়ে গিয়েছেন। আর মনে রেখেছেন শ্রোতারা। সরকার কিছু করুক বাবার জন্য। একটা সম্মান অন্তত ওঁর প্রাপ্য।’’
পান্নালালবাবুর মৃত্যুর সময়ে তাঁর তিন মেয়ে এবং স্ত্রী জীবিত ছিলেন। পরে স্ত্রী মঞ্জুশ্রী মারা যান।
বড় মেয়ে কাজরী বিবাহিতা। মেজো ও ছোট মেয়ে কাকলি এবং শর্বরী দীর্ঘদিন মুম্বইয়ে ছিলেন। এ বছর কাকলির মৃত্যু হয়। এখন শর্বরীদেবী কলকাতায় থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাবার নামে কোনও আর্থিক সাহায্য চাইছি না। স্রেফ যোগ্য সম্মান চাইছি।’’
শর্বরীদেবী জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গ সফরে বেরনোর আগে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাত থেকে চিঠি নিয়েছেন। মমতা তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শর্বরীদেবী।