ফাইল চিত্র।
দমদম রোডে বাস চলাচল বন্ধ। ফলে যশোর রোডে এমনিই বেড়েছে গাড়ির চাপ। পাশাপাশি, ওই রাস্তার একাংশে চলছে জল সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন পাতার কাজ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। শুক্রবার সকালে এই ত্রিফলার জেরে পাতিপুকুর থেকে নাগেরবাজারমুখী রাস্তায় যানজটে জেরবার হলেন নিত্যযাত্রীরা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, জল সরবরাহ প্রকল্পের জন্য পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে। যশোর রোড বরাবর পর্যায়ক্রমে চলবে ওই কাজ। বর্তমানে কালিন্দী থেকে পাতিপুকুর পর্যন্ত অংশে রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। ফলে একটি লেন বন্ধ করে অন্য লেন দিয়ে উভয়মুখী গাড়ি চলছে। এর জেরে গাড়ির গতি শ্লথ হচ্ছে। বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক কর্মীরা নাগেরবাজার থেকে পাতিপুকুর অংশে গাড়ির গতি বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তবে সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে হওয়া দফায় দফায় বৃষ্টি। এ দিন সকালে যানজট পাতিপুকুর থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত চলে যায়। গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে লেক টাউন ও বাঙুরের রাস্তায়। দমদম থানা সূত্রের খবর, দমদম রোডে বাস চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি বেড়েছে বিমানবন্দরের দিক থেকে গাড়ির চাপ। এ দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুপুর গড়িয়ে যায়।
ওই রাস্তা দিয়েই কলকাতায় যাতায়াত করেন অসংখ্য মানুষ। দমদমের এক বাসিন্দা সৌরভ ঘোষ জানান, নাগেরবাজার থেকে পাতিপুকুর রেল সেতু পার হতে তাঁর এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে অসংখ্য মেট্রোযাত্রীর। তমাল মজুমদার নামে তাঁদের এক জন জানান, ওই পথেই এসে বেলগাছিয়া থেকে মেট্রো ধরেন অসংখ্য মানুষ। এ দিন মেট্রো পর্যন্ত পৌঁছতেই হিমশিম খেয়েছেন তাঁরা।
দমদমের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, দমদম রোডে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতের পথ বলতে একমাত্র যশোর রোড। সেই রাস্তায় যদি এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে তা হলে যাতায়াতে আরও দুর্ভোগ বাড়বে। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, এ দিন খুবই সমস্যা হয়েছে। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অসংখ্য যাত্রীকে। ভবিষ্যতে এই দুর্ভোগ ঠেকাতে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।