ছবি এপি।
ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ পুনরায় রোপণ করে অতীতে সাফল্য পেয়েছিল কেএমডিএ। শহরের সবুজ রক্ষা করতে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে আমপানের দাপটে পড়ে যাওয়া গাছ আবার রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ। ঝড়ে কী কী গাছ দু’টি সরোবর চত্বরে পড়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু করা হবে বলে আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, দুই সরোবর চত্বরে প্রায় ৩০০টি বড় গাছ পড়েছে। এ ছাড়া, বেশ কিছু ছোটখাটো গাছও পড়ে গিয়েছে। যে গাছগুলির উচ্চতা ১৫ ফুটের কম, সেগুলি নতুন করে বসালে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন।
কেএমডিএ-র আধিকারিক সুধীন নন্দী বলেন, “কয়েক বছর আগে রবীন্দ্র সরোবরে ৪১টি ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ তিনটি পর্যায়ে নতুন করে লাগানো হয়েছিল। সেগুলির সব ক’টিই বেঁচে আছে। তার মধ্যে ফলের গাছও ছিল। বর্তমানে যদি অর্ধেক গাছও নতুন করে বসিয়ে বাঁচানো যায়, তা হলেও সবুজ বাঁচানোয় অনেকটাই সাফল্য পাওয়া যাবে।” তিনি জানান, উদ্ভিদবিদেরা ছাড়াও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞ তরুণ মণ্ডল বলেন, “পড়ে যাওয়া গাছ নতুন করে রোপণ করা সম্ভব, তবে ১০০ শতাংশ সাফল্য আসে না। বিশেষ করে যে সব গাছের গুঁড়ি শক্ত, যেমন মেহগনি, সেগুলি নতুন করে বসালেও সচরাচর বাঁচে না। ফলের গাছের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা নতুন করে পুঁতে অতীতে সাফল্য পেয়েছে।”
পরিবেশকর্মী অর্জন বসুরায় বলেন, “সরোবরের গাছগুলি যেখান থেকে উপড়ে গিয়েছে, ঠিক সেই জায়গায় বসালে হরমোন থেরাপি এবং সার ব্যবহার করে নিয়মিত যত্ন নিলে বাঁচতেই পারে। তবে গুঁড়ি ভেঙে গেলে বা সেখানে গভীর ক্ষত হলে গাছ সাধারণত বাঁচে না।”