সুভাষ প্রামাণিক।
সিগন্যাল সবুজ হওয়ার পরে বাস চলতে শুরু করেছিল। আচমকাই বাসের ধার ঘেঁষে আড়াআড়ি ভাবে সেটির সামনে চলে আসেন এক সাইকেল-আরোহী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি বাসের চাকায় পিষে যান। বুধবার সকালে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে কার্যত সকলের চোখের সামনেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার পরে শিল্পতালুকের ব্যস্ত রাস্তায় সাইকেল চলাচল কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিধাননগরের পুলিশ জানাচ্ছে, এ দিন সকালে এসডিএফ মোড়ে একটি বেসরকারি বাস পিষে দেয় সাইকেল-আরোহী সুভাষ প্রামাণিককে (৪৮)। সুভাষবাবু নিউ টাউনের থাকদাঁড়ির বাসিন্দা ছিলেন। তিনি সায়েন্স সিটিতে চাকরি করতেন। এ দিন তিনি কাজে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বারাসত-বি গার্ডেন রুটের একটি বাস সেই সময়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিল। সেটি চলতে শুরু করার সময়েই সুভাষবাবু বাসের ধার ঘেঁষে সামনে চলে আসেন। পুলিশের দাবি, সাইকেলটি বাসটির একেবারে ধার ঘেঁষে চলে আসায় বাসচালক তাঁকে দেখতে পাননি। ঘটনার পরে বাস ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্তের কর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাঁচ নম্বর সেক্টরের রাস্তায় সব ধরনের গাড়ির সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সাইকেল চালানো কতটা নিরাপদ, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনেই নিউ টাউনের রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে সাইকেলের জন্য আলাদা বে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি, দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে নিউ টাউনে প্রশাসনের তরফেই সাইকেল চালানোয় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
বিধাননগর পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, নিউ টাউনের তুলনায় পাঁচ নম্বর সেক্টর আগে তৈরি হয়েছে। সেখানকার রাস্তাও নির্দিষ্ট মাপের। ফলে ওই সব রাস্তায় সাইকেল বে তৈরি হলে গাড়ি চলাচলের জন্য কতটা জায়গা থাকবে, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। অন্য দিকে, নবদিগন্তের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, টেকনোপলিসের কাছে দু’টি রাস্তায় পরীক্ষামূলক ভাবে সাইকেল বে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি কতটা সফল হয়, তা দেখার পরে অন্য রাস্তাগুলি নিয়েও চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।’’