বন্দিদের তৈরি পাটজাত সামগ্রী বিভিন্ন স্তরে প্রশংসিত হয়েছে। এ বার সেই কাজের মানদণ্ড স্থির করতে চলেছে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ‘ক্রিসিল’। যা বন্দিদের তৈরি সামগ্রীকে আন্তর্জাতিক স্তরের স্বীকৃতি পেতে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে বলেই মত সংশোধানগার কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।
বুধবার দমদম এবং প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ‘জুট ইউনিটে’র মান যাচাইয়ে গিয়েছিলেন ‘ক্রিসিল’-এর প্রতিনিধি। ইউনিটের মান নিয়ে সংস্থাটি সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে দাবি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। রাজ্যের কোনও সংশোধনাগারে বন্দিদের তৈরি সামগ্রীর মূল্যায়নে ‘ক্রিসিল’-এর প্রবেশ প্রথম বলে দাবি কারা দফতরের কর্তাদের একাংশের।
এই পাটজাত সামগ্রী তৈরিতে দমদম এবং প্রেসিডেন্সিতে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বুধবার দমদম এবং প্রেসিডেন্সিতে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন ‘ক্রিসিল’-এর মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ উপেন্দ্র তলওয়ালকার। দুই সংশোধনাগারের ‘জুট ইউনিট’-এর অবস্থা কেমন, কী ভাবে কাজ করছেন বন্দিরা, দুই সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে তা দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ওই সংস্থার কর্তারা।
শুধুমাত্র কর্পোরেট সংস্থাই নয়, দেশের ঋণ-যোগ্যতাও যাচাই করে ‘ক্রিসিল’। মূলত আর্থিক দিক থেকে সংস্থা স্বয়ম্ভর কি না, তার মূল্যায়ন করা হয়। সেই তকমার জোরে পুঁজি বা ঋণ পাওয়া সহজ হয়। সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ম্যানেজিং ট্রাস্টি চৈতালি দাসের বক্তব্য, ‘‘আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে বন্দিদের পাটের কাজকে জায়গা করে দিতে সহায়ক হবে ক্রিসিলের মূল্যায়ন।’’ আগামী দু’মাসের মধ্যে মূল্যায়ন পাওয়া নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বন্দিদের সামগ্রী বিপণনে ক্রিসিলের মূল্যায়ন অনেকাংশে সাহায্য করবে।
বর্তমানে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাটজাত বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে যুক্ত রয়েছেন ২২-২৪ জন বন্দি। প্রেসিডেন্সিতে ‘জুট ইউনিটে’ কাজ করছেন ১৪-১৫ জন। দুই সংশোধনাগারে বন্দিদের দেখভালের দায়িত্বে একদা বন্দিদশা কাটানো হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা লাভলি অধিকারী। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি ওই সংস্থায় যুক্ত হন।