সোমবার প্রায় ১৯ ঘণ্টার দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে রাউস অ্যাভেনিউ আদালত অনুব্রতকে ৩ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। —ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারক রাকেশ কুমার। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই ক’দিন অনুব্রতের সঙ্গে আধ ঘণ্টার জন্য দেখা করতে পারবেন তাঁর আইনজীবীরা। তবে বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন।
কেন গেলেন না? আনন্দবাজার অনলাইনকে আইনজীবী মুদিত জানান, বুধবার দুপুরে তাঁর মক্কেল অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু য়াওয়া হয়নি। হোলি উপলক্ষে রাজধানীতে ছুটির মেজাজ বলেই কি তিনি যেতে পারেননি। যদিও এ প্রশ্নের কোনও জবাবে কিছু বলেননি মুদিত। শুধু বলেন, ‘‘আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) যাব।’’
মঙ্গলবার প্রায় ১৯ ঘণ্টার দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রতকে ৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন বিচারক। জানিয়েছেন অসুস্থ অনুব্রতের প্রতি দিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এবং আধ ঘণ্টা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন আইনজীবীরা। তার পরেও বুধবার কেষ্টর কাছে তাঁর কোনও আইনজীবীই যাননি।
মঙ্গলবার রাতে যখন অনুব্রতকে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানো হয়, তাঁর আইনজীবী মুদিত সওয়াল করেছিলেন যে, তাঁর মক্কেলকে তো সশরীরে হাজির করানোর কথা! অভিযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে মক্কেলকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিরনি বলেছিলেন, ‘‘তাঁর সঙ্গে আমার এখনও কথা সুযোগ হয়নি।’’ অনুব্রতের আইনজীবী এ-ও বলেন, ‘‘অনুব্রত ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি অসুস্থ। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। এখন হাজিরা বাতিল করা হোক।’’ তার পর সেই নাটকীয় ঘটনা ঘটে। ইডির আইনজীবী নীতীশ রানা জানান, বিচারক চাইলে তখনই অনুব্রতকে সশরীরে বিচারকের সামনে হাজির করাবেন তাঁরা। অগত্যা বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতেই শুনানি হয়। এবং তার পরে ওই হেফাজতের নির্দেশ।