ফাইল চিত্র
দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে পরিস্থিতি এক সময়ে ছিল যথেষ্টই উদ্বেগজনক। তবে আশার কথা হল, কলকাতায় এখন অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৬ মে কলকাতা পুরসভা এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫৩৪ জন। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, ‘‘কলকাতায় আজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১৭-য়। এই সংখ্যাটা শূন্য দেখতে চাই।’’
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এটা অত্যন্ত ভাল খবর। বিধি মেনে চললে আমরা নিঃসন্দেহে করোনাকে হারাতে পারব।’’ আক্রান্তের সংখ্যা এতটা কমার পিছনে সরকারি কড়াকড়ির ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করেন বক্ষরোগ চিকিৎসক অনির্বাণ নিয়োগী। তাঁর কথায়, ‘‘এই কড়াকড়ি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। নিয়ম মেনে চললে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে আমরা শূন্যে পৌঁছব নিশ্চয়ই।’’
প্রত্যেক শহরবাসীর জন্য করোনার প্রতিষেধক নিশ্চিত করতে এ দিন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, প্রতিষেধক দিতে শিবির করুক শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি। তা হলে সকলেই দ্রুত প্রতিষেধক পাবেন, ভিড়ও কমবে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে এখনও অনেকে অনীহা ও কুসংস্কারে ভুগছেন। ডাকলেও আসছেন না। এর জন্য সচেতনতা জরুরি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিষেধক প্রদানে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। অন্যান্য রাজ্যে যে পরিমাণে তা দেওয়া হচ্ছে, এখানে ততটা পাওয়া যাচ্ছে না।