Corona New Variant

বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা, চলছে উৎসবের রেকর্ড জমায়েত

এখনও জেএন.১-এর থাবা এ রাজ্যে বসেনি বলেই কি এতটা অসতর্ক থাকতে পারছেন সাধারণ মানুষ? না কি, সতর্ক থাকা দরকার?

Advertisement

চন্দন বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কোভিডের নতুন উপ-প্রজাতি জেএন.১-এর সন্ধান এখনও এ শহরে মেলেনি বলেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। কিন্তু বাড়ছে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে আইসিইউ-তে রোগীও। এরই মধ্যে বড়দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েতের রেকর্ড গড়েছে এ শহর। সামনেই বর্ষবরণ। যাকে ঘিরে ফের উন্মাদনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, এখনও জেএন.১-এর থাবা এ রাজ্যে বসেনি বলেই কি এতটা অসতর্ক থাকতে পারছেন সাধারণ মানুষ? না কি, সতর্ক থাকা দরকার?

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, পরিসংখ্যান বৃদ্ধির প্রবণতা উড়িয়ে দেওয়াটা বিপদ ডেকে আনবে। এখনই সতর্ক হতে হবে। তবে আতঙ্কিত নয়। তাঁদের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩— মাঝে চলে গিয়েছি চারটি বছর। তখন জানা ছিল না এই ভাইরাসের চরিত্র এবং একে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। এখন সকলেই জানেন যে, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া নিয়মিত করতে পারলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা লাভজনক হয়। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রেখে সেগুলো মনে রাখার এবং যথাসম্ভব জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

কেরলে কোভিডের উপ-প্রজাতি জেএন.১-এর খোঁজ মিলতেই প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের ভর্তি থাকার কথা মানছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুরু হয়েছে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির পরিদর্শন। এই পরিস্থিতিতে বর্ষবরণের উৎসবের জমায়েত মনে করিয়ে দিচ্ছে বছর দুই আগের ঘটনা।

Advertisement

সে বছর অতিমারির আতঙ্কের মধ্যেই বর্ষশেষের উৎসবে কয়েক লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটে। তার পরেই হু হু করে বেড়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লাগাম ছাড়িয়ে যায় রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি। এর পরেই পরিস্থিতি বুঝে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, ‘‘কোভিডের ক্ষেত্রে যে যে সতর্কতা আমরা জানি, সেগুলিকেই আবার মেনে চলার সময় এসে গিয়েছে। ঘন ঘন হাত ধোয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা শুরু করতে হবে। বয়স্ক, শিশু ও যাঁদের অন্যান্য অসুখ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাঁদের যতটা সম্ভব ভিড় এড়ানো ভাল। জেএন.১-এর ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। ফলে সতর্কতা আবশ্যক।’’

আতঙ্কিত না হলেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন কার্ডিয়োভাস্কুলার শল্য চিকিৎসক কুণাল সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘এখনই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’’

বক্ষরোগ চিকিৎসক অনির্বাণ নিয়োগী সাবধান করে বলছেন,
‘‘একটু অসতর্কতায় কতটা বিপদ হতে পারে, কোভিডের এতগুলো বছরে তো আমরা দেখেছি। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে হেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট, তাই এটির বেশ কিছু বিষয় চিকিৎসকদের কাছেও অজানা। অতএব অহেতুক ভিড় বাড়িয়ে, হুল্লোড় করে আখেরে নিজেদেরই যে ক্ষতি, এটা এত সহজে ভুলে গেলে চলবে না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement