ফাইল চিত্র।
আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি প্রমাণিত হল। রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের কবলে এ বার রেলের পরিষেবাও। তার কারণ হাওড়া এবং শিয়ালদহ, দুই ডিভিশনেই সামনের সারিতে থাকা রেলকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ জন চালক ও গার্ড সংক্রমিত হওয়ায় বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপাতত সমস্যা সামাল দিতে বিভিন্ন কম গুরুত্বপূর্ণ রুটে শহরতলির লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে হাওড়াতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার পূর্ব রেল জানিয়েছে, আপাতত বিভিন্ন রুটে রেক, চালক এবং গার্ডের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী কম গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে কিছু লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানো হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে না। তবে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে আরও বেশি সংখ্যক লোকাল ট্রেন বাতিল হবে বলেই আশঙ্কা।
আপাতত দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা কমানো হচ্ছে না বলেই এ দিন জানিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সুনীত শর্মা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, তা যাত্রীদের টিকিট কাটার সময়েই ওয়েবসাইট মারফত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই করোনা-বিধি মানার প্রশ্নে যাত্রীদের সচেতন করতে শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলিতে রেলের পক্ষ থেকে নাগাড়ে ঘোষণা শুরু হয়েছে। প্রয়োজন না থাকলে সফর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্টেশনে সাফাই অভিযান বাড়ানোর পাশাপাশি রেলের চালক এবং গার্ড-সহ সমস্ত ফিল্ড অফিসারকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজে যোগ দেওয়ার আগে এবং পরে তাঁদের শ্বাসের সঙ্গে বাষ্প টানতে বলা হচ্ছে। এর জন্য বিশেষ যন্ত্রও কেনা হয়েছে।
ট্রেন চালানোর কাজে যুক্ত ট্র্যাফিক বিভাগের কর্মীদের হাজিরা সরাসরি কমানো সম্ভব নয়। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁদের কাজের রুটিন এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে একই কর্মীকে প্রতিদিন কাজ করতে না হয়। রেলের অফিসগুলিতে কম কর্মী নিয়ে কাজের প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর।