নীরদ সি চৌধুরী।
অনাবাসী ভারতীয় লেখক, প্রয়াত নীরদ সি চৌধুরীর একাধিক স্মারক ও গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ছেলে পৃথ্বীনারায়ণ চৌধুরী। সম্প্রতি আলিপুর আদালতে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে এ বার ভবানীপুর থানাকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিলেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এলাকার একটি অভিজাত ক্লাবের প্রদর্শন-কক্ষ থেকে সে সব গায়েব হয়ে গিয়েছে।
পৃথ্বীনারায়ণবাবুর বক্তব্য, তিনি আইনত বাবার উত্তরাধিকারী। যা আইনসম্মত ভাবে কলকাতা হাই কোর্টের নথিতেও রয়েছে। তাঁর বাবার স্মারক ও গ্রন্থ সাধারণের সামনে প্রদর্শনের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি একটি সম্মতিপত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার ওই ক্লাবকে দিয়েছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষকে যা যা হস্তান্তরিত করা হয়েছিল, তার মধ্যে দুষ্প্রাপ্য বই, মেডেল ও শিল্পসামগ্রী ছিল। তাঁর দাবি, সে সবের মধ্যে ছিল উইলিয়াম শেক্সপিয়রের প্রথম প্রকাশনার প্রবন্ধও। তাঁর কথায়, ওই সব স্মারকের দাম কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড। কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে ওই সব অমূল্য সামগ্রী জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তাঁর।
আদালতের কাছে তাঁর আবেদনে পৃথ্বীনারায়ণবাবু জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কিছু দুষ্প্রাপ্য স্মারক ও গ্রন্থ ওই ক্লাবে তাঁর নজরে পড়ছে না। সে সবের খোঁজে একাধিক বার ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁরা কোনও সহযোগিতা করছেন না বলেই অভিযোগ তাঁর। তাঁর আশঙ্কা, কোনও গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ওই সব দুষ্প্রাপ্য জিনিসের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁর
আবেদন, বিষয়টিতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।
সোমবার মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল ভবানীপুর থানাকে বিষয়টির অনুসন্ধান করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে কি না, তা খোঁজ করে আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে আদালত সূত্রের খবর।