শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো-বার্তায় লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলির কাছে ফি বৃদ্ধি না করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কয়েকটি স্কুল ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা এই শিক্ষাবর্ষে ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছে।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল নতুন শিক্ষাবর্ষে যে বর্ধিত ফি-র কথা ঘোষণা করেছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, ‘‘শুধু বর্ধিত ফি স্থগিত রাখাই নয়, সেই সঙ্গে নতুন ক্লাসে ওঠার জন্য বইয়ের খরচ-সহ আনুষঙ্গিক যে সব ফি দিতে হয়, সেগুলিও এখন দিতে হবে না। স্কুল খোলার পরে দিলেই হবে।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে সব অভিভাবক এখনই ফি দিতে পারবেন না, তাঁদের অন্তত ১৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। লেট ফি দিতে হবে না। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ফি বাবদ কিছু টাকা শুধু কাটা হবে। ডিপিএস নর্থ কলকাতা ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারাও নতুন শিক্ষাবর্ষের বর্ধিত ফি এখন নেবে না। ইতিমধ্যে কেউ যদি বর্ধিত ফি দিয়ে থাকেন, তা হলে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে সেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। দক্ষিণ কলকাতার দোলনা ডে স্কুলও তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই শিক্ষাবর্ষে এখনই কোনও ফি বৃদ্ধি হচ্ছে না।
এপিজে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ঋতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে ফি বাড়াচ্ছেন না। ক্যালকাটা গার্লসের প্রিন্সিপ্যাল বাসন্তী বিশ্বাস জানান, তাঁদের স্কুলে বর্ধিত ফি আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। অনেক অভিভাবক তা জমাও দিয়েছেন। তবে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হয়েছে।