অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য কলকাতা পুলিশের টুইটার পেজ থেকে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায় নামে ওই পুলিশ আধিকারিক ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের ইকুইপমেন্ট সেলের অফিসার-ইন চার্জ ছিলেন। থাকতেন কড়েয়া থানা এলাকায়। অভিজ্ঞানকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত চার জন কলকাতা পুলিশের কর্মী মারা গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোভিডের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হলে দু’বারই তা নেগেটিভ আসে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের এক বার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তখন রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তাদেরই এক সহকর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কলকাতা পুলিশ। এই করোনা-যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি টুইটও করেছে তারা। টুইটে লেখা হয়েছে, “ ইনস্পেক্টর অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ইকুইপমেন্ট সেলে অফিসার-ইন-চার্জ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ভর্তি হন হাসপাতালে। প্রাণ হারালেন আজ। আমাদের এই প্রয়াত সহযোদ্ধার পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিমা অনুযায়ী দশ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে শীঘ্রই।প্রয়াত সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আমরা আছি, এবং থাকব সর্বতোভাবে।”
আরও পড়ুন: শুরু হবে লকডাউন, কাকভোরেই বিমানবন্দরে হাজির যাত্রীরা
কর্তব্যরত অবস্থায় কলকাতা পুলিশের অনেক কর্মীই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও চিকিৎসাধীন। অনেকে আবার সুস্থও হয়ে উঠেছেন। করোনা আবহে প্রতি দিনই কর্তব্যপালনে রাস্তায় বেরতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। অনেকে আবার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত রয়েছেন। একের পর এক কর্মী কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের সুরক্ষাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে লালবাজার। যথাযথ ভাবে হাত স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা-সহ বেশ কয়েকটি সুরক্ষাবিধির কথা বলেছে লালবাজার।