প্রতীকী ছবি
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দুই এলাকা। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের নিরিখে রাজারহাট ও বিধাননগরের মধ্যে সামান্য হলেও তফাত ধরা পড়েছে। প্রশাসনের দাবি, রাজারহাট অঞ্চলে সংক্রমণের প্রতিদিনের সংখ্যা অনেকটাই কম। অন্য দিকে বিধাননগরে কিন্তু প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চাপে রেখেছে সেখানকার পুর প্রশাসনকে।
বিধাননগরের মতো রাজারহাটে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শুরুতে বাড়লেও গত সাত দিনে তা কমেছে বলেই দাবি প্রশাসনের। তাদের দাবি, আগে দিনে ১৫টি করে কেস পাওয়া যাচ্ছিলই। সেই সংখ্যা বর্তমানে কমে প্রতিদিন ৫-৬টিতে নেমে এসেছে। শুক্রবার তিন জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের। এ দিন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮। সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। নতুন করে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। রাজারহাটের বিডিও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। নতুন করে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। এটা আশার দিক।’’
অন্য দিকে দৈনিক আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে বিধাননগর পুর এলাকায়। পর পর দু’দিন শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কাউন্সিলরও। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৬৭৩ জন। তবে পুরসভার দাবি, নমুনা পরীক্ষা বাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
পুর প্রশাসনের অভিযোগ, নাগরিকদের একাংশের মধ্যে এখনও তথ্য গোপনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যেরা বাইরে বেরোচ্ছেন বলে পুরসভার কাছে খবর আসছে।
মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, নাগরিকদের একাংশের মধ্যে নিয়ম না মানার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। তার জেরে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। বাসিন্দাদের মতে, স্থানীয় আবাসন সমিতিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি সচেতনতার প্রচারের কথা চিন্তাভাবনা করুক প্রশাসন। বিধাননগরের পুলিশ জানায়, লকডাউনের দিনে বিধিভঙ্গের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, লাগাতার প্রচার চলছে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।