মেছুয়ার ফলপট্টি।—ফাইল চিত্র।
বড়বাজারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মেছুয়ার ফলপট্টি সরানোর ভাবনা শুরু হয়েছিল পুর প্রশাসনে। মঙ্গলবার পুর ভবনে এক বৈঠকের পরে জানানো হল, ফলপট্টি আপাতত মেছুয়া থেকে সরানো হচ্ছে না। তবে করোনা প্রতিরোধে সব রকম বিধি-নিষেধ মানতে হবে সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
এ দিন মেছুয়া এলাকার ফল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। হাজির ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। বৈঠকে ফলপট্টি সরানোর প্রসঙ্গ উঠতেই ব্যবসায়ীরা কয়েক দিন সময় চেয়ে নেন। প্রতিশ্রুতি দেন, করোনা প্রতিরোধে সব সতর্কতা মানবেন তাঁরা। সেই আবেদনের পরে ওই বাজার না সরানোর সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিস্থিতি নিয়ে বরো অফিসে বৈঠক করেছিলেন ফিরহাদ। সে সময়ে স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলরেরা তাঁকে জানান, বিভিন্ন বাজারে দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক পরছেন না। তার পরেই ফলপট্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন ফিরহাদ।
এ দিন বৈঠকে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ফলপট্টিতে সকাল-সন্ধ্যায় ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে কি না তা দেখা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা হবে তাঁদের কাজ। যে সব লরি এবং ছোট গাড়ি ফল নিয়ে ওই বাজারে আসে, সেগুলি তিন ঘণ্টার মধ্যে খালি করে দিতে হবে। বাইরে থেকে আসা লরির চালক এবং খালাসি যাতে গাড়ি থেকে নেমে ঘোরাফেরা না-করেন, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, ওই সব শর্ত পূরণ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন তাঁরা।