সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় সচেতনতার প্রচার। নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের শুরুতেই ফের কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতায়। তাই সোমবার সকাল থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে শহর লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর ও মহেশতলা পুরসভা এলাকায় কোমর বেঁধে নামলেন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। এ দিন নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারে টহলদারি অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এ দিন পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে গড়িয়ার বিভিন্ন বাজারে টহল দেন পুলিশকর্মীরা। মাস্ক ব্যবহার করা নিয়ে সতর্ক করা হয় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের। মুখে মাস্ক না থাকায় বাজার এলাকা থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
রাজপুর-সোনারপুর পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান পল্লব দাস বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুরের ওয়ার্ডগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হবে। সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, এমন এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সচেতনতার প্রচারের পাশাপাশি সেখানে নজরদারিও চালানো হচ্ছে। পুর এলাকায় সেফ হোম তৈরির জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। দ্রুতই তা চালু করা হবে।’’
এ দিন মহেশতলা পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালায় পুলিশ। বিভিন্ন বাজার কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করেন পুলিশকর্তারা। পরিস্থিতি অনুযায়ী সংক্রমণ প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে বলে মহেশতলা পুরসভা সূত্রের খবর।
এ দিন সংক্রমণ রুখতে মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার সমস্ত থানা এলাকাতেও। পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘সকাল থেকে বিভিন্ন থানা এলাকার গণপরিবহণে ও বাজার এলাকায় টহলদারি অভিযান চলেছে। এখন থেকে প্রতিদিন অভিযান চলবে।’’
পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, সংক্রমণ রুখতে গণপরিবহণ ও রেল স্টেশন চত্বরগুলিতে বেশি করে অভিযান চালানো হচ্ছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন বাজারে অযথা ভিড় ও জটলা এড়ানোর জন্যও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এ দিন থেকেই স্কুলে স্কুলে কমবয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিন সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ হাইস্কুলে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়। তবে শুধু স্কুলপড়ুয়ারাই নয়, এলাকার বাসিন্দা সমবয়সিদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন প্রায় ২৫০ জন স্কুলপড়ুয়াকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ মিশ্র। তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে স্কুলপড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকেও এই প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।