প্রতীকী ছবি।
বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। কিছু দিন আগেই ওই ব্যক্তির মা করোনায় মারা গিয়েছেন।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি সূত্রের খবর, সেখানে ঘিঞ্জি এলাকায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে পুরসভা ও পুলিশ সব রকমের প্রয়াস চালাচ্ছে। বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতার প্রচারে। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ তবু সচেতন হচ্ছেন না। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত বলেন,‘‘এই নিয়ে ওয়ার্ডে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’’ তবে শুধু একটি ওয়ার্ডে নয়, সল্টলেক থেকে শুরু করে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় বিধি না মানার ছবি দেখা যাচ্ছে। বিধাননগরের
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র, সেফ হোম চালু করা হয়েছে। পুরসভা লাগাতার সচেতনতার প্রচার করছে।
পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, বিধাননগরে ৩০ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। চলতি সপ্তাহে কয়েক দিন আক্রান্তের সংখ্যা কমেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৭১ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, কোনও দিন অনেকগুলি রিপোর্ট একসঙ্গে চলে আসছে। আবার কোনও দিন কম আসছে। তাই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)