Coronavirus

করোনা আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় পুলিশ কর্মীর মৃত্যু কলকাতায়

এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের দুই কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ১৯:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের আরও এক কর্মীর। শনিবার সকালে শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ট্রাফিক বিভাগের এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই পুলিশ কনস্টেবল সপ্তাহখানেক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবল ভর্তি হওয়ার পর তাঁর লালারসের নমুনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পরেই তাঁকে সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে রেখে চিকিৎসা চলতে থাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। চিকিৎসা চলাকালীন ওই কনস্টেবলের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের দুই কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এর আগে শেক‌সপিয়র সরণি থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে। এ দিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা-সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বাহিনীর ২৬৫ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জন এখনও চিকিৎসাধীন।

Advertisement

আরও পড়ুন: নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বোড়াল শ্মশানের ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যের​

আরও পড়ুন: ভারতীয় এলাকা জুড়ে নতুন মানচিত্র পাশ হয়ে গেল নেপাল পার্লামেন্টে​

Advertisement

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই কনস্টেবলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মৃত্যুর খবর জানার পরই শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডে বিক্ষোভ দেখান সেখানে কর্মরত নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের একাংশ। তবে গার্ডের ওসি এবং দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশকর্মীরা দ্রুত সেই বিক্ষুব্ধ সহকর্মীদের শান্ত করেন। পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ, সামনের সারিতে থেকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলেও, তাঁরা অনেক সময়েই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পাচ্ছেন না। অন্য দিকে, এ দিন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের ৩৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁরা যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement