করোনার আতঙ্কে শ্রমিকদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে।—ফাইল চিত্র।
করোনার জেরে ধাক্কা খেল সেতু এবং উড়ালপুলের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও।
ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার জেরেই শহরের সেতু ও উড়ালপুলের মেরামতি কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে শ্রমিকদের জড়ো করা সম্ভব হচ্ছে না কেএমডিএ-র পক্ষে। অবশ্য আধিকারিকদের দাবি, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শ্রমিকদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার আবশ্যিক করা হচ্ছে। তা ছাড়াও প্রয়োজনে সেতু বা উড়ালপুলের রেলিংগুলিও জীবাণুমুক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
আধিকারিকেরা জানান, করোনার আতঙ্কে গত কয়েক দিন ধরেই শ্রমিকদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। তাঁরা জানান, দু’এক জন শ্রমিক দিয়ে উড়ালপুলের নজরদারি বা মেরামতির কাজ করানো সম্ভব হয় না। অনেক শ্রমিকেরই প্রয়োজন হয়। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিককে একত্রিত করে কাজ করানো যাচ্ছে না। তা ছাড়া উড়ালপুল মেরামতিতে ভারী যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে বন্দরে এনে রাখা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই সব যন্ত্রপাতি শহরে ঢোকানোর ঝুঁকি নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না বলে ওই আধিকারিক জানান।
কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনে করোনা প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের যে সব শ্রমিক বাইরে কাজ করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু রয়েছে।’’ আধিকারিকেরা জানান, কেএমডিএ যে সব উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সে কাজে যুক্ত শ্রমিকদের করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি উড়ালপুল এবং সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে অন্য সংস্থাও। ওই সব সংস্থাকেও তাদের শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে জন্য কেএমডিএ-র তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানান, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে কেএমডিএ নির্মিত শহরের ১৬টি সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তাব হয়েছিল। দু’-একটি ছাড়া বেশির ভাগেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রিপোর্টও জমা পড়ে গিয়েছে। চলতি মাসেই দরপত্র ডেকে বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করে উড়ালপুল এবং সেতুর মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার কথা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সে কাজে দেরি হতে পারে।