ফাইল চিত্র।
এক ধাক্কায় বিধাননগরে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত সপ্তাহের শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। রবিবার সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৬০০।
তবে এই পরিসংখ্যানে আত্মতুষ্ট নয় পুর প্রশাসন। যদিও এটি করোনার লেখচিত্রের নিম্নমুখী হওয়ার ইঙ্গিত বলেই তাঁদের একাংশের মত। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, দ্রুত একসঙ্গে বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে সংক্রমণ আবার দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে, এমনটাই তাঁদের আশা।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি মাসে ১৭ দিনে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বিধাননগরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩০০-র বেশি। বর্তমানে বিধাননগরে যে সংখ্যায় আক্রান্তের খবর মিলছে, তা-ও যথেষ্ট ভীতিপ্রদ বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁদের কথায়, এই পুর এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের যাতায়াত। দোকান-বাজার নিয়মিত খোলা রয়েছে। চলছে নির্বাচনী প্রচারের কাজও। আবার কোনও নির্বাচিত পুরপ্রতিনিধি না থাকায় নজরদারিতে ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনও বেশ কিছু মানুষের মধ্যে মাস্ক না-পরা, দূরত্ব বজায় না-রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই জানাচ্ছেন, তাঁরা বিধি মেনে চলছেন। দোকান, বাজারে ভিড় আগের চেয়ে কিছুটা কম। ইতিমধ্যে পুলিশ নজরদারির পাশাপাশি কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। তবে পুলিশের মধ্যেও অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন। সল্টলেকের পাশাপাশি এই পুরসভার অধীনে রয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর, বাগুইআটি ও কেষ্টপুর। ওই সব এলাকার অনেক জায়গাই বেশ ঘিঞ্জি বলে পুরসভা সূত্রের খবর। সেখানে করোনা-বিধি পালন করার ছবি সন্তোষজনক নয় বলে অনেকের অভিযোগ।
বিধাননগরের পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানান, নিয়মিত পরীক্ষা করা, লাগাতার প্রচার-সহ প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগের তুলনায় সংক্রমণ কমছে। পরিসংখ্যানে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। তবুও লাগাতার সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।